১. চাপ= কোনো বস্তুর একক ক্ষেত্রফলের উপর লম্বভাবে প্রযুক্ত বলকে চাপ বলে।
২. ঘনত্ব= কোনো বস্তুর একক আয়তনের মোট ভরের পরিমাণকে ঘনত্ব বলে।
৩. প্যাসকেল= প্রতি 1m2 ক্ষেত্রফলের উপর 1N বল লম্বভাবে প্রযুক্ত করলে যে চাপ হয় তাকে এক প্যাসকেল বা সংক্ষেপে প্যাকেল বলে।
৪. প্লবতা= কোনো বস্তুকে স্থির তরল বা বায়বীয় পদার্থে আংশিক বা সম্পূর্ণ নিমজ্জিত করা হলে বস্তুটির উপর সেই তরল বা বায়বীয় পদার্থ যে ঊর্ধ্বমুখী লব্ধি বল লম্বভাবে ক্রিয়া করে তাকে প্লবতা বলে।
৫. বায়ুমণ্ডলীয় চাপ= বায়ুমণ্ডল তার ওজনের জন্য ভূ-পৃষ্ঠের একক ক্ষেত্রফলের উপর লম্বভাবে যে বল প্রয়গ করে তাকে বায়ুমণ্ডলীয় চাপ বলে।
৬. ব্যারোমিটার= বায়ুর চাপ পরিমাপ করার যন্ত্রকে ব্যারোমিটার বলে।
৭. প্রবাহী= যে পদার্থ প্রবাহিত হয় বা প্রবাহিত হতে পারে তাকে প্রবাহী বলে।
৮. স্থিতিস্থাপকতা= বাহ্যিক কোনো বলের প্রভাবে কোনো বস্তুর মধ্যে বিকৃতি ঘটলে বস্তুর ভিতরে এক ধরনের প্রতিরোধকারী বল উদ্ভুত হওয়ার ধর্মকে স্থিতিস্থাপকতা বলে।
৯. স্থিতিস্থাপক সীমা= কোনো স্থিতিস্থাপক বস্তুর উপর সর্বোচ্চ যে পরিমাণ বল প্রয়োগ করলে বস্তুটির পূর্বের আকার আর ফিরে আসে না অর্থাৎ বস্তুটি তার স্থিতিস্থাপকতা হারিয়ে ফেলে তাকে ঐ বস্তুর পদার্থের উপাদানের স্থিতিস্থাপক সীমা বলে।
১০. পীড়ন= বাহ্যিক কোনো বলের প্রভাবে কোনো বস্তুর মধ্যে বিকৃতি ঘটলে স্থিতিস্থাপকতার দরুন বস্তুর ভিতরে প্রতি একক ক্ষেত্রফলে যে প্রতিরোধকারী বল উদ্ভুত হয় তাকে পীড়ন বলে।
১১. বিকৃতি= কোনো পদার্থের একক মাত্রায় যে পরিবর্তন ঘটে তাকে বিকৃতি বলে।
১২. পদার্থের আণবিক গতিতত্ত্ব= যে তত্ত্বের মাধ্যমে পদার্থের অণুসমূহ কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় অবস্থায় কীভাবে গতিশীল থাকে তাকে তা জানা যায় তাকে পদার্থের আণবিক গতিতত্ত্ব বলে।
১৩. প্লাজমা= যে অবস্থায় কোনো পদার্থ সমান সংখ্যক ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়নের সংমিশ্রণে উত্তপ্ত আয়নিত গ্যাস হিসেবে থাকে তাকে প্লাজমা বলে।