১. পদার্থবিজ্ঞান= বিজ্ঞানের যে শাখা পদার্থ আর শক্তি এবং এ দুইয়ের মাঝে যে অন্তঃক্রিয়া তাকে বোঝার চেষ্টা করে তাকে পদার্থবিজ্ঞান বলে।
২. ব্যালান্স= পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন পরীক্ষাগারে কোনো অল্প জিনিসের ভর সূক্ষ্মভাবে মাপার বা পরিমাপের জন্য যে যন্ত্র ব্যবহৃত হয় তাকে ব্যালান্স বলে।
৩. থামা ঘড়ি= ক্ষুদ্র সময়ের ব্যবধান পরিমাপের জন্য যে ঘড়ি ব্যবহৃত হয় তাকে থামা ঘড়ি বলে।
৪. নিউক্লীয় চুল্লি= আয়ত্তাধীন ফিশন প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সংমিশ্রণে যে যন্ত্রটি তৈরি করা হয় তাকে নিউক্লীয় চুল্লি বলে।
৫. নিউক্লীয় বোমা= যে বোমা নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন প্রচণ্ড শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করে তাকে নিউক্লীয় বোমা বলে।
৬. পরিমাপের একক= কোনো রাশি মাপার ক্ষেত্রে যে নির্দিষ্ট ও সুবিধাজনক পরিমাণকে প্রমাণ হিসেবে ধরে প্রকৃত রাশিটির পরিমাণ ঐ প্রমাণ মানের কতগুণ তা মাপা হয় তাকে ঐ রাশির একক বলে।
৭. পিচ= স্ক্রুগজের টুপি একবার সম্পূর্ণ ঘুরালে রৈখিক স্কেল বরাবর এর যতটুকু সরণ ঘটে তাকে পিচ বলে।
৮. ফিশন= যে প্রক্রিয়ায় একটি ভারী পরমাণুর নিউক্লিয়াস বিশ্লিষ্ট হয়ে প্রায় সমান ভরের দুইটি নিউক্লিয়াস তৈরি করে এবং এতে প্রচুর পরিমাণে শক্তি নির্গত হয় তাকে ফিশন বলে।
৯. ভার্নিয়ার ধ্রুবক= প্রধান স্কেলের ক্ষুদ্রতম এক ভাগের চেয়ে ভার্নিয়ার স্কেলের ক্ষুদ্রতম এক ভাগ যতটুকু ছোট তাকে ভার্নিয়ার ধ্রুবক বলে।
১০. ভার্নিয়ার সমপাতন= ভার্নিয়ার স্কেলের যে দাগ প্রধান স্কেলের কোনো দাগের সাথে মিলে যায় তাকে ভার্নিয়ার সমপাতন বলে।
১১. ভার্নিয়ার স্কেল= প্রধান স্কেলের ক্ষুদ্রতম ভাগের ভগ্নাংশের নির্ভুল পরিমাপের জন্য মূল স্কেলের পাশাপাশি যে স্কেল ব্যবহার করা হয় তাকে ভার্নিয়ার স্কেল বলে।
১২. মাত্রা= কোনো একটি রাশি এবং তার মৌলিক এককের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য যে সংকেত ব্যবহার করা হয় তাকে উক্ত রাশির মাত্রা বলে।
১৩. মাত্রা সমীকরণ= যে সমীকরণের মাধ্যমে কোনো রাশির মাত্রা প্রকাশ করা হয় তাকে ঐ রাশির মাত্রা সমীকরণ বলে।
১৪. রাশি= বস্তু ও বস্তুর উপাদান সম্পর্কিত যেকোনো পরিমেয় ধর্মকে রাশি বলে।
১৫. মৌলিক রাশি= যে রাশি স্বাধীন বা নিরপেক্ষ অর্থাৎ অন্য কোনো রাশির উপর নির্ভর করে না বরং অন্যান্য রাশি এর উপর নির্ভর করে তাকে মৌলিক রাশি বলে।
১৬. লব্ধ রাশি= দুই বা ততোধিক মৌলিক রাশির গুণ বা ভাগ বা গুণ ও ভাগের সমন্বয়ে গঠিত রাশিকে লব্ধ রাশি বলে।
১৭. স্ক্রুগজ= যে যন্ত্রের সাহায্যে বিভিন্ন ছোট দৈর্ঘ্য, তারের ব্যাসার্ধ, সরু চোঙের ব্যাসার্ধ ইত্যাদি নির্ভুলভাবে পরিমাপ করা যায় তাকে স্ক্রুগজ বলে।
১৮. স্লাইড ক্যালিপার্স= যে যন্ত্রের সাহায্যে সূক্ষ্মভাবে দৈর্ঘ্য পরিমাপ করা যায় তাকে স্লাইড ক্যালিপার্স বলে।
১৯. লঘিষ্ঠ গণন= পিচকে স্ক্রুগজের ভাগসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায় তাকে ঐ স্ক্রুগজের লঘিষ্ঠ গণন বলে।
২০. যান্ত্রিক ত্রুটি= সঠিকভাবে পরিমাপ করা সত্ত্বেও যন্ত্রের যে ত্রুটির কারণে কোনো বস্তুর সঠিক পরিমাপ পাওয়া যায় না তাকে ঐ যন্ত্রের যান্ত্রিক ত্রুটি বলে।
[Collected and Modified]