১. কাজ= কোনো বস্তুর উপর বল প্রয়োগের ফলে যদি বস্তুটির সরণ ঘটে তাহলে বল ও বলের দিকে সরণের উপাংশের গুণফলকে কাজ বলে।
২. ধনাত্মক কাজ= কোনো বস্তুর উপর বল প্রয়োগ করার ফলে যদি বলের দিকে সরণ ঘটে তবে যে কাজ সম্পন্ন হয় তাকে ধনাত্মক কাজ বলে।
৩. ঋণাত্মক কাজ= কোনো বস্তুর উপর বল প্রয়োগ করার ফলে যদি বলের বিপরীত দিকে সরণ ঘটে তবে যে কাজ সম্পন্ন হয় তাকে ঋণাত্মক কাজ বলে।
৪. শূণ্য কাজ= কোনো বস্তুর উপর বল প্রয়োগের ফলে যদি বস্তুটির বলের দিকে সরণ না ঘটে অর্থাৎ বলের দিকে বস্তুর সরণের কোনো উপাংশ না থাকে তবে তাকে শূণ্য কাজ বলে।
৫. শক্তি= কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে।
৬. যান্ত্রিক কাজ= কোনো বস্তুর মাঝে নিহিত গতিশক্তি ও বিভবশক্তির মোট পরিমাণকে যান্ত্রিক শক্তি বলে।
৭. গতিশক্তি= কোনো গতিশীল বস্তু তার গতির জন্য কাজ করার যে সামর্থ্য অর্জন করে তাকে গতিশক্তি বলে।
৮. বিভবশক্তি= কোনো বস্তু তার অবস্থা বা অবস্থানের পরিবর্তনের জন্য কাজ করার যে সামর্থ্য অর্জন করে তাকে ঐ বস্তুর বিভবশক্তি বলে।
৯. অনবায়নযোগ্য শক্তি= যেসকল শক্তির উৎস একবারমাত্র ব্যবহারযোগ্য অর্থাৎ নতুন করে সৃষ্টি করা বা হওয়া সম্ভব না সেসকল শক্তিকে অনবায়নযোগ্য শক্তি বলে।
১০. নবায়নযোগ্য শক্তি= যেসকল শক্তির উৎস স্বল্প সময়ের ব্যবধানে পুনরায় ব্যবহার করা যায় এবং এর ফলে শক্তিটির উৎস নিঃশেষ হয়ে যায় না তাকে নবায়নযোগ্য শক্তি বলে।
১১. জলবিদ্যুৎ= নদীতে বাঁধ দিয়ে নদীর পানির প্রবাহ বা স্রোতকে কাজে লাগিয়ে যে তড়িৎ বা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় তাকে জলবিদ্যুৎ বলে।
১২. সৌরশক্তি= সূর্যে সংঘটিত ফিউশন প্রক্রিয়ার ফলে সূর্য থেকে যে শক্তি পাওয়া যায় তাকে সৌরশক্তি বলে।
১৩. বায়ুশক্তি= পৃথিবীর পৃষ্ঠে তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে বায়ুপ্রবাহজনিত যে গতিশক্তি তৈরি হয় তাকে বায়ুশক্তি বলে।
১৪. ভূ-তাপীয় শক্তি= ভূ-গর্ভে বিদ্যমান প্রচণ্ড তাপ থেকে যে শক্তি পাওয়া যায় তাকে ভূ-তাপীয় শক্তি বলে।
১৫. ম্যাগমা= ভূ-অভ্যন্তরে প্রচণ্ড তাপে গলিত শিলাকে ম্যাগমা বলে।
১৬. সবুজ ঘরের গ্যাস= কার্বন ডাইঅক্সাইডসহ যেসকল গ্যাস বৈশ্বিক উষ্ণায়ন তথা গ্রিন হাউস ইফেক্টের জন্য দায়ী তাদের গ্রিন হাউস গ্যাস বলে।
১৭. স্প্রিং ধ্রুবক= স্প্রিং এর একক দৈর্ঘ্য পরিবর্তনের জন্য যে বল প্রয়োগ করতে হয় তাকে ঐ স্প্রিং এর স্প্রিং ধ্রুবক বলে।
১৮. রাসায়নিক শক্তি= তড়িৎ কোষে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন শক্তিকে রাসায়নিক শক্তি বলে।
১৯. সঞ্চায়ক কোষ= যেসব কোষে রাসায়নিক শক্তি তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয় তাকে সঞ্চায়ক কোষ বলে।
২০. ফটোগ্রাফিক কাগজ= যেসব কাগজ আলোর সংস্পর্শে আসলে খুব অস্পষ্ট প্রতিবিম্ব তৈরি করতে পারে যা পরে স্পষ্ট করে নিতে হয় তাকে ফটোগ্রাফিক কাগজ বলে।
২১. নিউক্লিয়ার চুল্লি= আয়ত্তাধীন ফিশন প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সংমিশ্রণে যে যন্ত্রটি তৈরি করা তাকে নিউক্লীয় চুল্লি বলে।
২২. ফিউশন= যে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ায় দুইটি কম ভরের নিউক্লিয়াস একীভূত হয়ে বৃহত্তর পারমাণবিক ভরের মৌলের সৃষ্টি করে তাকে ফিউশন বলে।
২৩. কন্ট্রোল রড= নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরে নিউক্লিয়ার রিয়েকশন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিউট্রন শোষণে যে রড ব্যবহৃত হয় তাকে কন্ট্রোল রড বলে।
২৪. ক্ষমতা= একক সময়ে কোনো ব্যাক্তি বা বস্তু দ্বারা কৃতকাজের পরিমাণকে ক্ষমতা বলে।
২৫. ওয়াট= একক সময়ে এক জুল কাজ করার বা শক্তির রূপান্তরের হারকে এক ওয়াট বা সংক্ষেপে ওয়াট বলে।
২৬. প্রদত্ত ক্ষমতা= ইঞ্জিনের মোট ক্ষমতাকে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে।
২৭. প্রদত্ত শক্তি= প্রদত্ত ক্ষমতাকে সময় দ্বারা গুণ করলে তাকে প্রদত্ত শক্তি বলে।
২৮. কর্মদক্ষতা= কোনো যন্ত্রের কার্যকর ক্ষমতা ও প্রদত্ত ক্ষমতার অনুপাত বা কার্যকর শক্তি ও প্রদত্ত শক্তির অনুপাতকে ঐ যন্ত্রের কর্মদক্ষতা বলে।