নবম-দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান অধ্যায় ২ (গতি) এর প্রয়োজনীয় সকল সংজ্ঞা। - আস্ক পড়ুয়া
0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
316 বার প্রদর্শিত
"পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (2.2k পয়েন্ট)

১. স্থিতি কাকে বলে?

২. পরম স্থিতি কাকে বলে?

৩. স্থিতিশীল বা স্থির বস্তু কাকে বলে?

৪. গতি কাকে বলে?

৫. পরম গতি কাকে বলে?

৬. গতিশীল বস্তু কাকে বলে?

৭. প্রসঙ্গ কাঠামো কাকে বলে?

৮. স্কেলার রাশি কাকে বলে?

৯. ভেক্টর রাশি কাকে বলে?

১০. চলন গতি কাকে বলে?

১১. সরলরৈখিক গতি কাকে বলে?

১২. ঘূর্ণন গতি কাকে বলে?

১৩. পর্যায়বৃত্ত গতি কাকে বলে?

১৪. সরলস্পন্দন গতি কাকে বলে?

১৫. গতির সমীকরণ কাকে বলে?

১৬. দূরত্ব কাকে বলে?

১৭. দ্রুতি কাকে বলে?

১৮. গড়দ্রুতি কাকে বলে?

১৯. সমদ্রুতি কাকে বলে?

২০. অসম দ্রুতি কাকে বলে?

২১. সরণ কাকে বলে?

২২. বেগ কাকে বলে?

২৩. সমবেগ কাকে বলে?

২৪. অসমবেগ কাকে বলে?

২৫. বেগ-সময় লেখচিত্র কাকে বলে?

২৬. ত্বরণ কাকে বলে?

২৭. সুষম ত্বরণ কাকে বলে?

২৮. অসম ত্বরণ কাকে বলে?

২৯. মন্দন কাকে বলে?

৩০. তাৎক্ষণিক দ্রুতি কাকে বলে?

৩১. তাৎক্ষণিক বেগ কাকে বলে?

৩২. তাৎক্ষণিক ত্বরণ কাকে বলে?

৩৩. অভিকর্ষজ ত্বরণ কাকে বলে?

৩৪. মাধ্যাকর্ষণ বল বা অভিকর্ষ বল কাকে বলে?

৩৫. জড়তা কাকে বলে?

৩৬. স্থিতি জড়তা কাকে বলে?

৩৭. গতি জড়তা কাকে বলে?

1 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (2.2k পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন

১. স্থিতি= সময়ের পরিবর্তনের সাথে পরিপার্শ্বের সাপেক্ষে যখন কোনো বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন ঘটে না তখন বস্তুটির এই অবস্থাকে স্থিতি বলে।

২. পরম স্থিতি= সার্বিক পরিপার্শ্বের সাপেক্ষে স্থির কোনো বস্তুর অবস্থাকে পরম স্থিতি বলে।

৩. স্থিতিশীল বা স্থির বস্তু= সময়ের পরিবর্তনের সাথে পরিপার্শ্বের সাপেক্ষে যখন কোনো বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন ঘটে না তখন ঐ বস্তুকে স্থিতিশীল বস্তু বলে।

৪. গতি= সময়ের পরিবর্তনের সাথে পরিপার্শ্বের সাপেক্ষে যখন কোনো বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন ঘটে তখন বস্তুটির এই অবস্থাকে গতি বলে।

৫. পরম গতি= পরম স্থির বস্তুর সাপেক্ষে গতিশীল কোনো বস্তুর অবস্থাকে পরম গতি বলে।

৬. গতিশীল বস্তু= সময়ের পরিবর্তনের সাথে পরিপার্শ্বের সাপেক্ষে যখন কোনো বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন ঘটে তখন ঐ বস্তুকে গতিশীল বস্তু বলে।

৭. প্রসঙ্গ বিন্দু= এই মহাবিশ্বে কোনো কিছুর অবস্থান নির্দেশ করার জন্য যে নির্দিষ্ট বিন্দুকে স্থির ধরে নেওয়া হয় তাকে প্রসঙ্গ বিন্দু বা মূলবিন্দু বলে।

৮. স্কেলার রাশি= যে রাশির শুধু মান আছে, দিক নেই তাকে স্কেলার রাশি বলে।

৯. ভেক্টর রাশি= যে রাশির মান ও দিক উভয়ই আছে তাকে ভেক্টর রাশি বলে।

১০. চলন গতি= কোনো বস্তু যদি এমনভাবে চলতে থাকে যেন বস্তুটির সকল কণা একই সময়ে একই দিকে সমান দূরত্ব অতিক্রম করে তাহলে বস্তুটির গতিকে চলন গতি বলে।

১১. সরলরৈখিক গতি= কোনো বস্তু যদি সরলরেখা বরাবর গতিশীল হয় তাহলে তার গতিকে সরলরৈখিক গতি বলে।

১২. ঘূর্ণন গতি= কোনো বস্তু একটি নির্দিষ্ট বিন্দুর সমদূরত্বে ঘুরতে থাকলে বস্তুটির গতিকে ঘূর্ণন গতি বলে।

১৩. পর্যায়বৃত্ত গতি= কোনো গতিশীল বস্তু যদি একটি নির্দিষ্ট বিন্দুকে নির্দিষ্ট সময় পরপর একই দিক থেকে একইভাবে অতিক্রম করে তাহলে ঐ বস্তুর গতিকে পর্যায়বৃত্ত গতি বলে।

১৪. সরলস্পন্দন গতি= পর্যায়বৃত্ত গতি সম্পন্ন কোনো বস্তু যদি পর্যায়কালের অর্ধেক সময় কোনো নির্দিষ্ট দিকে এবং বাকি অর্ধেক সময় একই পথে তার পূর্ব গতির বিপরীত দিকে চলে তবে ঐ বস্তুর গতিকে সরলস্পন্দন গতি বা সরল ছন্দিত গতি বলে।

১৫. গতির সমীকরণ= যে চারটি সমীকরণ ব্যবহার করে সমত্বরণে গতিশীল বস্তুর গতি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা যায় তাদের গতির সমীকরণ বলে।

 ১৬. দূরত্ব= যেকোনো দিকে কোনো বস্তু যে পথ অতিক্রম করে তাকে ঐ বস্তুটি দ্বারা অতিক্রান্ত দূরত্ব বলে।

১৭. দ্রুতি= সময়ের সাথে কোনো বস্তুর অবস্থান বা দূরত্ব পরিবর্তনের হারকে দ্রুতি বলে।

১৮. গড়দ্রুতি= বস্তু সুষম দ্রুতিতে না চললে মোট দূরত্বকে মোট সময় দিয়ে ভাগ করে প্রতি একক সময়ের জন্য যে অতিক্রান্ত দূরত্ব পাওয়া যায় তাকে গড়দ্রুতি বলে।

১৯. সমদ্রুতি= সমান সময়ের ব্যবধানে কোনো বস্তুর দূরত্ব পরিবর্তনের হার সমান হলে তাকে অসমদ্রুতি বলে।
২০. অসম দ্রুতি= সমান সময়ের ব্যবধানে কোনো বস্তুর দূরত্ব পরিবর্তনের হার সমান না হলে তাকে অসম দ্রুতি বলে।

২১. সরণ= নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে কোনো গতিশীল বস্তুর গতিপথের আদিবিন্দু ও শেষবিন্দুর মধ্যবর্তী সরলরৈখিক দূরত্বকে সরণ বলে।

২২. বেগ= সময়ের সাথে কোনো বস্তুর সরণ পরিবর্তনের হারকে ত্বরণ বলে।

২৩. সমবেগ= সমান সময়ের ব্যবধানে কোনো বস্তুর সরণ পরিবর্তনের হার সমান হলে তাকে সমবেগ বলে।

২৪. অসমবেগ= সমান সময়ের ব্যবধানে কোনো বস্তুর সরণ পরিবর্তনের হার সমান না হলে তাকে অসম বেগ বলে।

২৫. বেগ-সময় লেখচিত্র= একটি ছক কাগজের X-অক্ষ বরাবর সময়(t) ও Y-অক্ষ বরাবর বেগ (v) স্থাপন করলে প্রাপ্ত লেখচিত্রকে বেগ-সময় লেখচিত্র বলে।

২৬. ত্বরণ= সময়ের সাথে কোনো বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে ত্বরণ বলে।

২৭. সুষম ত্বরণ= সমান সময়ের ব্যবধানে কোনো বস্তুর বেগ পরিবর্তনের হার সমান হলে তাকে সুষম ত্বরণ বলে।

২৮. অসম ত্বরণ= সমান সময়ের ব্যবধানে কোনো বস্তুর বেগ পরিবর্তনের হার সমান না হলে তাকে অসম ত্বরণ বলে।

২৯. মন্দন= সময়ের সাথে কোনো বস্তুর বেগ হ্রাসের হারকে ঋণাত্মক ত্বরণ বা মন্দন বলে।

৩০. তাৎক্ষণিক দ্রুতি= অতি ক্ষুদ্র সময়ের ব্যবধানে (শূণ্যের কাছাকাছি) কোনো বস্তুর দূরত্ব পরিবর্তনের হারকে তাৎক্ষণিক দ্রুতি বলে।

৩১. তাৎক্ষণিক বেগ= অতি ক্ষুদ্র সময়ের ব্যবধানে (শূণ্যের কাছাকাছি) কোনো বস্তুর সরণ পরিবর্তনের হারকে তাৎক্ষণিক বেগ বলে।

৩২. তাৎক্ষণিক ত্বরণ= অতি ক্ষুদ্র সময়ের ব্যবধানে (শূণ্যের কাছাকাছি) কোনো বস্তুর বেগ পরিবর্তনের হারকে তাৎক্ষণিক ত্বরণ বলে।

৩৩. অভিকর্ষজ ত্বরণ= অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূ-পৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোনো বস্তুর সময়ের সাথে বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বা মাধ্যাকর্ষণজনিত ত্বরণ বলে।

৩৪. মাধ্যাকর্ষণ বল বা অভিকর্ষ বল= পৃথিবী ও অন্য যেকোনো বস্তুর মধ্যে যে মহাকর্ষ বল ক্রিয়া করে তাকে মাধ্যাকর্ষণ বল বা অভিকর্ষ বল বলে।

৩৫. জড়তা= স্থির বস্তুর সর্বদা ও গতিশীল বস্তুর সর্বদা একই বেগে গতিশীল থাকতে চাওয়ার প্রবণতাকে জড়তা বলে। (অথবা) কোনো বস্তু যে অবস্থায় আছে চিরকাল সেই অবস্থায় থাকতে চাওয়ার প্রবণতাকে জড়তা বলে।

৩৬. স্থিতি জড়তা= স্থির বস্তুর সর্বদা স্থির থাকতে চাওয়ার প্রবণতাকে স্থিতি জড়তা বলে।

৩৭. গতি জড়তা= গতিশীল বস্তুর সর্বদা একই বেগে গতিশীল থাকতে চাওয়ার প্রবণতাকে গতি জড়তা বলে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
1 উত্তর 181 বার প্রদর্শিত
"আস্ক পড়ুয়ায় স্বাগতম" আস্কপড়ুয়া একটি জ্ঞানমূলক ওয়েবসাইট।এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জ্ঞানের আলোকে ছড়িয়ে দেওয়া।এই কমিউনিটি তে যারা যুক্ত তারা জ্ঞানার্জনে উন্মুখ।যেকোনো বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদানে পড়ুয়া বোর্ড সহযোগিতা প্রদানে তৎপর।

1.4k টি প্রশ্ন

1.7k টি উত্তর

1.4k টি মন্তব্য

3.1k জন সদস্য

...