প্রশংসা!
শুনতে খুব ভালো লাগে,তাই না?আপনি, আমি বাইরে যা-ই বলি একটা প্রশংসার বাণী সবার মনকে শক্ত করে,কাজ করতে উৎসাহী করে,নতুন করে স্বপ্ন দেখায়,নতুন করে বাঁচতে শেখায়❤
তবে এই সমাজে লাখে একজন থাকে প্রশংসা করার।ভুল করলেও তার মধ্যে ভালো খুঁজে বের করে কতজন?বরং সবাই তো শুধু ভালো কাজের মধ্যে খুঁতটুকুই বের করে।
ছোট্ট একটা বাচ্চা হাঁটা শিখতে যেয়ে যখন পড়ে যায়,তখন আশেপাশে কে হাসে সেটা দেখে না।কারণ তার তখনো লজ্জা বোঝার বোধ হয়নি।আবার উঠে হাঁটতে শিখে! কারণ তাকে যে বড়দের মতো হাঁটতে হবে!আমরা তো পড়ে গেলে ব্যথা পেয়েছি কি না সেটা দেখার আগে দেখি কেউ দেখলো কি না?কেন?কেউ হাসলে আমার গায়ে কি ফোস্কা পড়ছে?সহানুভূতি দেখিয়ে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মানুষ নেই,আছে শুধু দাঁত বের করে হাসার মানুষগুলো!বাচ্চাদের মতো তাই নিজের সংকল্পকে দৃঢ় রাখুন। যতই হাসুক তারা মনে রাখবেন আপনি ছোট হচ্ছেন না।আবার দাঁড়িয়ে উঠবেন।এই দাঁড়ানোর শক্তি কিন্তু তাদের নেই।
আমি কখনো দেখিনি যে একটা মানুষ কোনো ভালো কাজ করলে জনসম্মুখে সেটার প্রশংসা করা।বরং দেখেছি, তার এখানে কি স্বার্থ থাকতে পারে সেই আলাপচারিতা করা আর খুঁতগুলো ধরা। আমরা কি কখনো মনখুলে প্রশংসা করতে পারি?দেখেছি মানুষটা মারা গেলে দু একটা প্রশংসার বাণী বলতে।সে হয়তো বেঁচে থাকতে এই প্রশংসা শুনলে আরও ভালো কাজ করতে পারতো!
ক্লাসে টিচার সবার সামনে যখন পড়া ধরে স্বাভাবিকভাবেই আমরা অনেকে নার্ভাস হয়ে থাকি।কেউ ভুল উত্তর দিলে মুখ টিপে হাসি কেন আমরা? যে পারেনি তার অনুতাপ এতে আরও বেড়ে যায়।যদি আপনি বলেন,দোস্ত কি হয়েছে?তুই তো সাহস করে দাঁড়িয়েছিলিস।২য় বার নিশ্চয়ই পড়াটাও বলতে পারবি!☺
প্রশংসা করতে শিখুন।আপনার যতটা ভালো লাগে শুনতে,অন্যদেরও ঠিক তেমন লাগে
আমাদের সৃষ্টিকর্তাও প্রশংসা ভালোবাসেন
বড় লিখে ফেলেছি
পড়ার জন্য ধন্যবাদ