ক) যে বস্তু নিজের রঙ পরিবর্তনের মাধ্যমে কোনো একটি বস্তু এসিড না ক্ষার বা কোনোটিই নয় তা নির্দেশ করে তাকে নির্দেশক বলে।
খ) ক্ষারক হলো মূলত ধাতব অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড। কিছু কিছু ক্ষারক আছে যারা পানিতে দ্রবীভূত হয়, আর কিছু আছে যারা পানিতে দ্রবীভূত হয় না। যে সমস্ত ক্ষারক পানিতে দ্রবীভূত হয় তাদেরকে ক্ষার বলে। অর্থাৎ ক্ষার হলো বিশেষ ধরনের ক্ষারক। NaOH, Ca(OH)2, NH4OH এগুলো ক্ষার। এগুলোকে আবার ক্ষারকও বলা যায়। পক্ষান্তরে, Al(OH)3 পানিতে দ্রবীভূত হয় না, তাই এটি ক্ষারক হলেও ক্ষার নয়। তাই সকল ক্ষারই ক্ষারক হলেও সকল ক্ষারক ক্ষার নয়।
গ) উদ্দীপকে A হলো এসিটিক এসিড এবং B হলো সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড। এসিটিক এসিড ও সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড এর বিক্রিয়া নিম্নরূপঃ
CH3COOH+NaOH=CH3COONa+H2O
আমরা জানি যে, এসিড ও ক্ষার পরস্পরের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে। উপরের বিক্রিয়াটিতে CH3COOH হলো এসিটিক এসিড এবং NaOH হলো সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড যা একটি ক্ষার। এই দুইটি যওগের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়েছে CH3COONa যা একটি লবণ এবং H2O অর্থাৎ পানি।
ঘ) উদ্দীপকের B হলো সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড যা একটি ক্ষারক।
যে সকল রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে এবং যারা পানিতে হাইড্রোক্সিল আয়ন তৈরি করে তাদের ক্ষারক বলে। যেমন- NaOH, Ca(OH)2, NH4OH, Al(OH) ইত্যাদি।
ক্ষারকের ব্যবহার
১) শুকনো ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও ক্লোরিন গ্যাসের বিক্রিয়া ঘটিয়ে ব্লিচিং পাউডার তৈরি করা হয়।
২) ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইডের পাতলা দ্রবণ অর্থাৎ চুনের পানি বা লাইম লাইম ওয়াটার ঘড় বাড়ি হোয়াইট ওয়াশ করতে ব্যবহৃত হয়।
৩) পানি ও ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইডের তৈরি পেস্ট মিল্ক অফ লাইম পোকামাকড় দমনে ব্যবহৃত হয়।
৪) ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড এন্টাসিড ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
৫) আবার অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইডও এন্টাসিড ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।