ক) আলোক রশ্মি এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে তীর্যকভাবে আপতিত হলে মাধ্যম পরিবর্তনে এর গতিপথে যে ভিন্নতা দেখা যায় তাই আলোর প্রতিসরণ।
খ) আপতিত রশ্মি ও অভিলম্বের অন্তর্ভুক্ত কোণকে আপতন কোণ বলে এবং প্রতিসরিত রশ্মি অভিলম্বের সাথে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে প্রতিসরণ কোণ বলে।
গ) উদ্দীপকে A হলো একটি চোখ যা পানিভর্তি একটি গ্লাসের দিকে তীর্যকভাবে তাকিয়ে আছে এবং গ্লাসটির তলানিতে একটি মুদ্রা আছে। এক্ষেত্রে চোখটির সাপেক্ষে মুদ্রাটি উপরে উঠে আসবে এবং সে তা দেখতে পাবে। কারণ-
চিত্রে, ০ বিন্দুতে একটি মুদ্রা গ্লাসের পানির ভিতরে অবস্থান করছে এবং পানির অপর থেকে AB বরাবর দৃষ্টি রেখে একটি চোখ দেখার চেষ্টা করলে সে ০' বিন্দুটিতে মুদ্রাটিকে দেখতে পাবে। কারণ আলোক রশ্মি ০ বিন্দু থেকে A পর্যন্ত সরলরেখা বরাবর গেলেও বিভেদ তল থেকে তা প্রতিসরিত হওয়ায় অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যাবে। আর চোখটি তার কাছে আসা AB সরলরেখা বরাবর ০' পর্যন্ত গিয়ে মুদ্রাটি প্রতিফলিত হবে। এভাবে সে মুদ্রাটি দেখতে পাবে।
ঘ) আলোকরশ্মি এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে তীর্যকভাবে প্রবেশ করলে দুই মাধ্যমের বিভেদতলে এর দিক পরিবর্তন হয়। আলোকরশ্মির এই দিক পরিবর্তনের ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।
আলোর প্রতিসরণের নিয়ম
১) আলোক রশ্মি যখন হালকা মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমে প্রবেশ করে তখন এটি অভিলম্বের দিকে সরে আসে। এই ক্ষেত্রে আপতন কোণ প্রতিসরণ কোণ অপেক্ষা ছোট হয়।
২) আলোক রশ্মি প্রথমে একটি মাধ্যম থেকে (যেমন বায়ু) অন্য মাধ্যমে প্রতিসরিত হয়ে পুনরায় একই মাধ্যমে নির্গত হলে আপতণ কোণ ও নির্গত কোণ সমান হয়।
৩) আপতিত রশ্মি, প্রতিসরিত রশ্মি এবং আপতণ বিন্দুতে দুই মাধ্যমের বিভেদ তলে অংকিত অভিলম্ব একই সমতলে থাকে। এছাড়াও আলোক রশ্মি যখন ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে তখন এটি অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায়। এইক্ষেত্রে আপতণ কোণ প্রতিসরণ কোণ অপেক্ষা ছোট হয়।
৪) আলোক রশ্মি যখন অভিলম্ব বরাবর আপতিত হয় তখন আপতণ কোণ, প্রতিসরণ কোণ ও নির্গত কোণের মান ০ডিগ্রী হয়। এইক্ষেত্রে আপতিত রশ্মির দিক পরিবর্তিত হয় না।
[পরে সম্পাদনা করা হবে]