১. আলোক রশ্মি ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে প্রবেশের সময় আপতণ কোণের মান যদি সংকট কোণ অপেক্ষা বড় হয় তাহলে আলোর কোনো প্রতিসরণ হয় না। প্রতিফলনের নিয়ম মেনে আগের মাধ্যমেই তা ফিরে আসে। একেই বলা হয় পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন। এর শর্তগুলো হলোঃ
i) আলোক রশ্মিকে ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমের দিকে যেতে হবে।
ii) আপতণ কোণের মান সংকট কোণের থেকে বড় হতে হবে।
iii) বিভেদ তল প্রতিফলক হিসেবে কাজ করবে।
iv) আলো যে মাধ্যম থেকে আপতিত হবে সে মাধ্যমেই সম্পূর্ণভাবে ফিরে যেতে হবে।
২. অপটিক্যাল ফাইবার হলো খুব সরু কাচতন্তু।
গঠন
অপটিক্যাল ফাইবার দুইটি অংশ নিয়ে গঠিত। এগুলো হলো কোর ও ক্ল্যাড। ক্ল্যাডের ভিতরের দিকের অংশ বিভেদ তল হিসেবে কাজ করে। এই বিভেদ তলেই আলোকরশ্মির পুনঃপুন পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটে।
কার্যপ্রণালী
আলোকরশ্মি যখন এই কাচতন্তুর মধ্যে প্রবেশ করে তখন ের দেওয়ালে পুনঃপুন পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটতে থাকে। এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে আলো আলোকরশ্মির অপর প্রান্ত দিয়ে বের না হওয়া পর্যন্ত।
ব্যবহার
আলোকরশ্মি বহনের কাজে অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহৃত হয়। সাধারণত ডাক্তাররা মানবদেহের ভেতরের কোনো অংশ (যেমন- পাকস্থলী, কোলন ইত্যাদি) দেখার জন্য যে আলোক নলটি ব্যবহার করেন তা একগুচ্ছ অপটিক্যাল ফাইবারের সমন্বয়ে গঠিত। এছাড়া অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহারের আরেকটি ক্ষেত্র হলো টেলিযোগাযোগ। এতে ফাইবার ব্যবহারের ফলে একসাথে অনেকগুলো সংকেত প্রেরণ করা যায়। সংকেত যত দূরেই যাক না কেনো এর শক্তি হ্রাস পায় না।