সাওম কার ওপর ফরজ? - আস্ক পড়ুয়া
0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
464 বার প্রদর্শিত
"সাধারণ জ্ঞান" বিভাগে করেছেন (15 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (2.2k পয়েন্ট)

রোজা ৮ শ্রেণী মানুষের ওপর ফরজ।


১. মুসলমান হওয়া। মুসলিম ব্যক্তির জন্য রোজা রাখা ফরজ। রোজা কোন অমুসলিমের জন্য ফরজ নয়।
 
২. বালেগ হওয়া। নাবালগের ওপর রোজা ফরজ নয়, অর্থাৎ ১২ বছর বয়সের কম বয়স হলে রোজা ফরজ হবেনা।
 
৩. সুস্থব্যক্তি হওয়া। শারীরিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির জন্য রোজা রাখার নিয়ম নাই। তবে সাধারণ অসুখ বিসুখ হলে যদি সে রোজা রাখার উপযোগী হয় তবে সে রোজা রাখতে পারবে।
 
৪.সুস্থ মস্তিস্কের অধিকারী হওয়া। পাগলের ওপর রোজা ফরজ নয়।
 
৫.স্বাধীন হওয়া। পরাধীন নয় এমন ব্যক্তি হওয়া।
 
৬.সজ্ঞান হওয়া। অর্থাৎ যিনি রোজা রাখবেন তিনি নিজ জ্ঞানে বা স্বেচ্ছায় আল্লাহর হুকুম পালন করবেন।
 
৭.মুকিম হওয়া। অর্থাৎ স্তায়ীবাসিন্দা হওয়া। মুসাফিরের ওপর রোজা ফরজের ব্যপারে একটু ভিন্নতা আছে। যেমন কষ্টসাধ্য ভ্রমন হলে পরবর্তীতে রোজা আদায়ের বিধান আছে। আমি মনে করি বর্তমানে সফর অনেক আরামের সাথে করা যায় তাই সফর অবস্থায় একমাত্র কাহিল হয়ে না পড়লে রোজা রাখা উচিৎ।
 
৮.তাহীরা অর্থাৎ পবিত্রতা: হায়েজ-নেফাস মুক্ত হতে হবে।
0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (202 পয়েন্ট)
পূনঃপ্রদর্শিত

কার ওপর রোজা ফরজ


কারো উপর রোজা ফরজ হওয়ার জন্য ৬টি শর্ত - সংগ্রহ

সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজান। আরবি দ্বিতীয় হিজরিতে আল্লাহ রব্বুল আলামিন মুসলিমদের ওপর রোজ ফরজের বিধান নাজিল করেন। প্রতি বছর রমজান মাসে সারা বিশ্বের মুসলিমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সিয়াম পালন করেন। তবে সব মুসলিমদের ওপর রোজা ফরজ নয়। কোন ব্যক্তির ওপর রোজা ফরজ হওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। কারো উপর রোজা ফরজ হওয়ার জন্য ৬টি শর্ত-

১. মুসলিম হওয়া

সময়ের পার্থক্যের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যেমন একদিন আগে-পরে হয়, তেমনি অঞ্চল ভেদে রোজার সময়ও কম-বেশি হয়ে থাকে। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা পালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা; কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সূর্যদয় ও সূযাস্তের পার্থক্যের কারণে  রোজার সময়ও কম বেশি হয়। কোন কোন অঞ্চলে সেটি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি আবার কোন অঞ্চলে অনেক কম।

এ বছর কোন কোন দেশে ২০ ঘণ্টার বেশি আবার কোন দেশে ১১ ঘণ্টারও কম সময় রোজা রাখাতে হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরেই সবচেয়ে বেশি সময় রোজা পালন করতে হচ্ছে ইউরোপের দ্বীপরাষ্ট্র আইসল্যান্ডের মুসলিমদের। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের এই ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রটিতে এখন সবচেয়ে বড় দিন। ঘড়ির কাটার হিসেবে যা ২০ ঘণ্টা ১৭ মিনিট। দেশটির স্থানীয় সময় রাত আড়াইটায় সুবহে সাদিক হয়, আর ইফতার অর্থ সূর্যাস্ত হয় পৌনে এগারোটায়। এত দীর্ঘ সময় রোজা রাখতে সমস্যায় পড়ছেন দেশটির অল্প সংখ্যক মুসলিম নাগরিক। দেশটির মুসলিম জনসংখ্যা আটশোর মতো।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রোজার সময় আইসল্যান্ডের প্রতিবেশী ও ডেনমার্ক শাসিত দ্বীপ গ্রিণল্যান্ডে। দেশটিতে এ বছর রোজার সময় ১৯ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। আর বাল্টিক অঞ্চলের দেশ ফিনল্যান্ড আছে তৃতীয় অবস্থানে, দেশটির মুসলিমরা রোজা রাখছে ১৯ ঘণ্টা ২১ মিনিট। এরপর যথাক্রমে একই অঞ্চলের নরওয়ে(১৯ ঘণ্টা ১৯ মিনিট), সুইডেন (১৯ ঘণ্টা ১২ মিনিট)।

উত্তর মেরুর অন্যান্য দেশগুলোতেও এরকম দীর্ঘ সময় রোজা রাখতে হচ্ছে মুসলিমদের। অন্যদিকে এই গ্রহের অন্য প্রান্তে অর্থাৎ দক্ষিণ মেরুতে পাওয়া যাচ্ছে বিপরীত চিত্র। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দেশ চিলির মুসলিমরা সবচেয়ে কম সময় রোজা রাখছে। দেশটিতে এখন ১০ ঘণ্টা ৩৩ মিনিট দীর্ঘ হচ্ছে দিন। আইসল্যান্ডের তুলনায় যা প্রায় ১১ ঘণ্টা কম। এছাড়া নিউজিল্যান্ডে রোজা হচ্ছে ১১ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১১ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট। ব্রাজিল আর অস্ট্রেলিয়ায় হুবহু একই সময় রোজা রাখতে হচ্ছে, ১১ ঘণ্টা ৫৯ মিনিট।

ইফতার আয়োজনে অনন্য মদিনা
তৌহিদুল ইসলাম

মসজিদে নববীর চত্ত্বরে ইফতারের দৃশ্য
‘তোরা কে কে যাবি আয় সোনার মদিনায়’। মরমি শিল্পী আব্বাস উদ্দিনের এই কালজয়ী গান প্রত্যেক মুসলিম হৃদয়কে আবেগ তাড়িত করে তোলে। সত্যি তারাইতো সৌভাগ্যবান যারা নবী সা:-এর দেশে নবীর টানে ভ্রমণের সুযোগ পান। আর এই ভ্রমণের সময়টি যদি হয় রমজান মাস তাহলেতো কথাই নেই।
মাহে রমজান। মুসলমানদের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের মাস। পবিত্র কুরআন নাজিলের এই মাসে প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান চান আরো গভীরভাবে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দিদার লাভ। এ মাসের মধ্য দিয়েই রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের পথ খুঁজে ফিরেন তারা। তাইতো সামর্থ্যবান নারী-পুরুষ ছুটে আসেন পবিত্র নগরী মদিনায়।

রমজান মাসকে কেন্দ্র করে মদিনা হয়ে ওঠে উৎসবের নগরী। চারদিকে সাজসাজ রব। শাবান মাসের মধ্য রজনী থেকেই হাওয়া পাল্টে যায় এখানকার। মসজিদে নববীতে চলে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। আবাসিক হোটেল, বিপণিবিতানগুলোতে চলে বিশেষ আয়োজন। সারা বছরই মদিনা শহর ব্যস্ত থাকে ওমরায় আগত মুসলিমদের সমাদরে। সবচেয়ে বেশি লোকসমাগম হয় হজের মওসুমে। হজের ক’দিন আগে থেকে পর পর্যন্ত দশ লক্ষাধিক হাজী মদিনাতে থাকেন। এই গণজমায়েতের পর সবচেয়ে বেশি লোকসমাগম হয় মাহে রমজানে। বিশ্বের প্রতিটি কোণ থেকে লাখ লাখ মুসলমান শুধু ইবাদতের নিয়তে আসেন শান্তির শহর মদিনায়। এদের একটি বড় অংশ এতেকাফে বসেন মসজিদে নববীতে। অন্যরা দিনরাত মশগুল থাকেন ইবাদতে।

মদিনাতে ইফতার
রমজানে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৈনন্দিন অধ্যায় হচ্ছে ইফতার। আর রোজাদারদের আতিথেয়তায় মসজিদে নববীর আয়োজন অনন্য। বলে বুঝানোর উপায় নেই যে, মদিনাতে ইফতারের মধ্য দিয়ে যে উৎসব হয়, পৃথিবীর আর কোথাও এর তুলনা মেলা ভার। এখানে রোজাদারদের ইফতার করানোর জন্য যে আকুতি তা প্রতিযোগিতায় রূপ নেয়। তবে বলে রাখা ভালো এ প্রতিযোগিতা কোনো অসুস্থ প্রতিযোগিতা নয়। রোজাদারদের খেদমতের মাধ্যমে নেকি অর্জনই প্রধান উদ্দেশ্য। সেজন্য এখানকার মানুষ দিল থেকে চেষ্টা করেন দেশী-বিদেশী রোজাদারদের সর্বোচ্চ খেদমতের।
রমজান মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এত মুসল্লি ওমরা করতে আসেন সৌদি আরবে যে, দেশটির সরকার লোক সমাগম নিয়ন্ত্রণে বাধ্য হয়েই ভিসা প্রদানে শর্তারোপ করে। আগত মুসল্লিদের অর্ধেকের বেশি মক্কায় ওমরা শেষে মদিনায় চলে আসেন। এখানকার বাসিন্দারা এ ধরনের ওমরাকারী মুসাফিরদের ‘আল্লাহর মেহমান’ বলে থাকেন। আর আল্লাহর মেহমানদের খেদমতে এরা জান দিতে পারেন।




২. প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া

৩. বিবেকবান হওয়া

৪. মুকিম হওয়া(সফরে রয়েছে এমন ব্যক্তি নয়)

৫. রোজা রাখতে সক্ষম হওয়া

৬. নিষিদ্ধ বিষয়াবলী থেকে মুক্ত হওয়া

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
1 উত্তর 418 বার প্রদর্শিত
19 জানুয়ারি 2021 "সাধারণ জ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Nijhum (2.2k পয়েন্ট)
0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
1 উত্তর 233 বার প্রদর্শিত
19 জুন 2020 "ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Fahim Hasan Ratul (404 পয়েন্ট)
0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
1 উত্তর 2.2k বার প্রদর্শিত
0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
0 টি উত্তর 122 বার প্রদর্শিত
"আস্ক পড়ুয়ায় স্বাগতম" আস্কপড়ুয়া একটি জ্ঞানমূলক ওয়েবসাইট।এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জ্ঞানের আলোকে ছড়িয়ে দেওয়া।এই কমিউনিটি তে যারা যুক্ত তারা জ্ঞানার্জনে উন্মুখ।যেকোনো বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদানে পড়ুয়া বোর্ড সহযোগিতা প্রদানে তৎপর।

1.4k টি প্রশ্ন

1.7k টি উত্তর

1.4k টি মন্তব্য

3.7k জন সদস্য

...