আর্থসামাজিক উন্নয়নে জনসংখ্যা নীতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে । বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকের জীবন মান উন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধন করাই হলো জনসংখ্যা নীতি। জনসংখ্যা নীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে। প্রাথমিক শিক্ষা সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনসাধারণ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা সঠিকভাবে অনুভব করতে পারছে।বই বিতরণ , উপবৃত্তি ও বৃত্তি ব্যবস্থায় নারী শিক্ষার হার বাড়ছে এবং তারা পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচীতেও ভূমিকা রাখতে শুরু করেছেন। বাল্যবিবাহ রোধ আইন ও কাবিন নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। হাঁস মুরগির খামার, ছাগল পালন, পোশাক শিল্প, বুটিক শিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে ঋনদানকারী সংস্থার সহায়তা ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বিকাশ ঘটায় দারিদ্র্যের হার কমেছে এবং জনসাধারণ পরিকল্পিত জীবন সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠছে। জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের তারা সচেষ্ট হচ্ছে। সরকার' কৃষি উন্নয়নের সার , তেল, কৃষি যন্ত্রপাতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে সহায়তা করা এদেশের কৃষক সমাজ অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য আরও অধিক সন্তানের প্রয়োজন অনুভব করে না বরং ছোট পরিবার নিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হচ্ছে। স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন হওয়ায় শিশু মৃত্যুর হার কমেছে এবং বাবা-মা অধিক সন্তান নেওয়া থেকে বিরত থাকছে। বস্তুত জনসংখ্যা নীতি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এক যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে।