উদ্দীপকে সোনারগাঁওয়ের স্থাপত্য নিদর্শন সম্পর্কে আলোচিত হয়েছে । সোনার গাঁয়ের স্থাপত্য নিদর্শন দ্বারা যেমন দর্শনার্থীদের চিত্তবিনোদনের সুযোগ হয়, তেমনি এসব নিদর্শন এর মধ্য দিয়ে সেকালের মানুষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থা, জীবনযাত্রা, বিশ্বাস-সংস্কার ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়।
একটি জাতির সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে তার অতীত ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সেই জাতির মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগ্রত করে, যা ছাড়া জাতীয় প্রতিষ্ঠা লাভ করা যায় না । এক্ষেত্রে প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের ভূমিকা অনস্বীকার্য । সোনারগাঁও আমাদের সেই অতীত গৌরবময় ইতিহাস সমৃদ্ধ স্থাপত্য শিল্পের উজ্জ্বল নিদর্শন । এগুলোর মূল্য অপরিসীম।
এ প্রত্নসম্পদ গুলো যদি আমরা রক্ষা করতে না পারি তাহলে আমাদের ওই সময়কার অতীত ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে । এছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যুগের বহু প্রাচীন পাওয়া যায়, যা খুবই মূল্যবান। এ প্রত্নসম্পদ গুলো যেমন অতীত ঐতিহ্য এর ধারক তেমনি খুবই মূল্যবান। এজন্য এ প্রত্নসম্পদ যদি রক্ষা করা না যায় তাহলে অতীত ঐতিহ্য হারানোর সাথে সাথে প্রচুর অর্থে ক্ষতি হয়ে যাবে । তাদের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি বর্তমান সময়ে আরও যেসব প্রত্নসম্পদ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে আমরা আমাদের অতীত ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে পারি।
সুতরাং , উপরিউক্ত এর সোনারগাঁওয়ের স্থাপত্য নিদর্শন নিদর্শনের রক্ষণাবেক্ষণ না করার ফলে তার জীর্ণ দশা দেখে শিক্ষার্থীরা ব্যাহত হয়।