কিশোর অপরাধ নিরসনে অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করা প্রয়োজন।
শিশু কিশোররা নানা কারণে অপরাধী হয়ে উঠতে পারে। যেমন- দারিদ্র্য, হতাশা, আদর-যত্নের অভাব, মাতাপিতার অকাল মৃত্যু বা বিবাহবিচ্ছেদ, চিত্তবিনোদনের অভাব ইত্যাদি। বাংলাদেশে কিশোর অপরাধের প্রবণতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তবে এটি প্রতিরোধের বিভিন্ন পদক্ষেপ আছে। যেমন- অভিভাবক সচেতনতা ও দায়িত্ব, আরথ সামাজিক কর্মসূচী, শিক্ষার সুযোগ, চিত্তবিনোদন ইত্যাদি।
কিশোর অপরাধ প্রতিরোধের প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো অভিভাবক সচেতনতা ও দায়িত্ব। এজন্য পরিবারে সন্তানদের সুষ্ঠু মানসিক বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে করতে হবে। পরিবার কর্তৃক সন্তানদের চলাফেরার ওপর নজর রাখতে হবে। তাদের বন্ধু ও সাথীদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখতে হবে। সন্তানদের সঙ্গে সহজ ও সাভাবিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
পরিশেষে বলা যায় যে, কিশোরদের অপরাধ প্রবণতার ধরণ, তার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে মাতাপিতা ও পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের যদি সচেতন করা হয়, তবে তারা সহজেই কিশোরদের অপরাধ থেকে দূরে রাখতে বা সে পথ থেকে সরিয়ে আনতে পারবেন। তাই কিশোর অপরাধ নিরসনে অভিভাবকদের সাথে আলোচনার কার্যকারিতা অপরিসীম।