চুল কিভাবে তাড়াতাড়ি বড় হবে? - আস্ক পড়ুয়া
0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
220 বার প্রদর্শিত
করেছেন (1.1k পয়েন্ট)
পূনঃরায় খোলা করেছেন

2 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (2.2k পয়েন্ট)

সঠিক যত্নে চুল বড় হওয়া সম্ভব। আর এরজন্য রয়েছে প্রতিষ্ঠিত কিছু উপায়। রূপচর্চাবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই বিষয়ের উপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে চুল লম্বা করার কয়েকটি পন্থা এখানে দেওয়া হল।

শুকনা মাথার ত্বকে মালিশ করুন

চুল ভালো রাখার জন্য মালিশের চেয়ে ভালো আর কিছু নেই। এটা মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়ায় যা চুলের ফলিকলে পুষ্টি উপাদান পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকে কেবল আঙুল দিয়ে মালিশ করুন। এটা মাথার ত্বক সুস্থ রাখে ও দ্রুত চুল বড় করতে সাহায্য করে।

ভেজা চুল মালিশ করা

গোসলের সময় মাথা মালিশ করার মাধ্যমে দিন শুরু করুন। গোসলের সময় মাথার ত্বকে আঙুল বুলিয়ে মালিশ করুন। ভালো ফলাফলের জন্য ঘাড়ের পেছন থেকে চুলের লাইন অনুযায়ী সামনের দিকে মালিশ করা শুরু করুন।

আগা ছাঁটুন

চুলের আগা শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যাওয়ার পরেও আগা ছাঁটতে চান না। যার মূল কারণ হল চুল ছোট হয়ে যাওয়া। তবে সত্যি যদি আপনি চুল বড় করতে চান তাহলে আগা ছাঁটুন। প্রতি ছয় থেকে আট সপ্তাহ পরপর চুলের আগা ছাঁটলে চুল দ্রুত বড় হবে।

যথার্থ সম্পূরক গ্রহণ করা

চুলের জন্য প্রয়োজনীয় সঠিক পুষ্টি সম্পর্কে অনেকেরই সঠিক ধারণা নেই। চুল ভালো রাখার জন্য সঠিক ভিটামিন বেছে নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন বি চুল শক্তিশালী রাখে। এবং যে সকল সম্পূরকে বায়োটিন থাকে তা চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে।

কন্ডিশনার ব্যবহার

হয়ত শুনে থাকবেন যে কন্ডিশনার চুল ভালো রাখে। কীভাবে রাখে তা অনেকেরই অজানা। শ্যাম্পু প্রতিদিনকার চুলের ময়লা ও ধূলাবালি দূর করে এবং কন্ডিশনার চুলে পুনরায় পুষ্টি যুগিয়ে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধোয়া

চুল পরিষ্কার করতে ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন। এটা চুলে দ্রুত পরিবর্তন আনে। শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করার পরে চুল ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এটা চুলের আর্দ্রতা হারিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে। পাশাপাশি চুলের কিউটিকেল ভালো রাখে। গরম পানি দিয়ে ধোয়া হলে তা চুল দুর্বল ও রুক্ষ করে ফেলে। তাই চুলে গরম পানির ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

স্টাইলিং টুলস ব্যবহার না করা

হেয়ার স্টাইলিং টুলস যেগুলো তাপ প্রয়োগ করে যেমন- স্ট্রেইটনার, কার্লিং আয়রন ইত্যাদি। এগুলো চুলের ক্ষতি করে, দুর্বল ও ভঙ্গুর করে ফেলে। তাই এই ধরনের স্টাইলিনং যন্ত্র ব্যবহার বন্ধ করুন। আর যদি ব্যবহারের করতেই হয় তাহলে আগে তাপ নিরোধক প্রসাধনী ব্যবহার করে নিন।

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (404 পয়েন্ট)

চুল পড়ার সমস্যার পাশাপাশি আরেকটি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মেয়েদের, তা হল চুল লম্বা না হওয়া। অনেক মেয়েই অভিযোগ করে থাকেন যে তাদের চুল লম্বা হয় না। মূলত চুল তিনটি ধাপে লম্বা হয়ে থাকে। অ্যানাজেন, ক্যাটাজেন, এবং টেলোজেন। অ্যানাজেন ধাপে চুল জন্ম গ্রহণ করে এবং তা দুই থেকে ছয় বছর পর্যন্ত থাকে। ক্যাটাজেন ধাপে নতুন চুল গজিয়ে থাকে, টেলোজেন  ধাপে চুল জন্মানো বন্ধ হয়ে যায়। এটি চুলের জীবনচক্র। কিছু উপায়ে আছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার চুল দ্রুত লম্বা করতে পারেন।  

১। স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া

একটি সুষম ডায়েট নতুন চুল গজাতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। সবুজ শাকসবজি, বিনস, মাছ এবং মাংস হতে পারে পুষ্টির সবচেয়ে ভাল উৎস। প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় মাছ, সবুজ শাক সবজি, বাদাম, ডিম এবং মুরগির মাংস রাখুন। এটি আপনার চুল পড়া রোধ করে চুল লম্বা হতে সাহায্য করবে।

২। প্রতিদিন ১ থেকে ২ বার চুল ব্রাশ করুন

দিনে দুইবার আস্তে আস্তে দুই মিনিট সময় নিয়ে চুল ব্রাশ করুন। এতে মাথার তালুতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে। এবং তালুর প্রাকৃতিক তেল আপনার প্রতিটি চুলের গোড়ায় পৌঁছে যাবে। চুল ভেজা অবস্থায় ভুলেও চুল জোরে ব্রাশ করবেন না। এটি আপনার চুল পড়া বৃদ্ধি করে দিবে।

৩। শ্যাম্পু করার সময় স্কাল্প ম্যাসাজ করুন

শ্যাম্পু করার সময় আলতো ভাবে মাথার তালু ম্যাসাজ করুন। আঙুল দিয়ে এক থেকে দুই মিনিট মাথা ম্যাসাজ করুন। এটি মাথার তালুর রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

৪। গরম তেল ম্যাসাজ

খুব সহজ উপায়ে চুল বৃদ্ধি করার কার্যকরী উপায় হল গরম তেল ম্যাসাজ করা। নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, জোজোবা অয়েল যেই তেল আপনি ব্যবহার করেন না কেন সেটি কিছুটা গরম করে নিন। এইবার এই তেলটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে মাথায় ম্যাসাজ করুন। এক দুই ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৫। কাস্টর অয়েল ব্যবহার করা

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কাস্টর অয়েল ম্যাসাজ  করে নিন। এভাবে সারারাত রাখুন। পরের দিন সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক বা দুইবার করুন। কিছুদিনের মধ্যে আপনি নিজেই নিজের চুলে পার্থক্য দেখতে পাবেন।

৬। অ্যাপল সিডার ভিনেগার

অ্যাপল সিডার ভিনেগার আপনার চুলের ময়লা, জীবাণু, ধুলাবালি দূর করে দিয়ে থাকে। এটি শুধু চুল বৃদ্ধি করে না, তারসাথে চুলের গোড়া মজবুত এবং সিল্কি নরম করে তোলে। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার হিসেবে আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করুন। ভিনেগারের গন্ধ যদি পছন্দ না করে তবে এতে আপনার পছন্দের কোন এসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।

৭। বালিশের কভার পরিবর্তন করুন

Townsend সুতির বালিশের কভার ব্যবহার করার পরিবর্তে সাটিনের কভার ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছেন। এটি আপনার চুলকে নরম রাখবে। সুতির কভারে ঘষা লেগে অনেক সময় চুল ঝরে পড়তে পারে। সাটিন এটি প্রতিরোধ করে থাকে।

এছাড়াও প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। চুলের বৃদ্ধি করতে পানির তুলনা হয় না।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
1 উত্তর 820 বার প্রদর্শিত
0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
1 উত্তর 459 বার প্রদর্শিত
14 ডিসেম্বর 2020 "ইন্টারনেট" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Sharmin Shanu (1.1k পয়েন্ট)
0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
1 উত্তর 762 বার প্রদর্শিত
05 ডিসেম্বর 2020 "নিত্য সমস্যাবলী" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন ABHIJIT (355 পয়েন্ট)
1 টি পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
2 টি উত্তর 156 বার প্রদর্শিত
04 জুলাই 2020 "ইন্টারনেট" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Sharmin Shanu (1.1k পয়েন্ট)
2 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
2 টি উত্তর 481 বার প্রদর্শিত
"আস্ক পড়ুয়ায় স্বাগতম" আস্কপড়ুয়া একটি জ্ঞানমূলক ওয়েবসাইট।এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জ্ঞানের আলোকে ছড়িয়ে দেওয়া।এই কমিউনিটি তে যারা যুক্ত তারা জ্ঞানার্জনে উন্মুখ।যেকোনো বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদানে পড়ুয়া বোর্ড সহযোগিতা প্রদানে তৎপর।

1.4k টি প্রশ্ন

1.7k টি উত্তর

1.4k টি মন্তব্য

3.1k জন সদস্য

...