ক) ভিনেগারের সংকেত হলো CH3COOH।
খ) লিটমাস কাগজ হলো এক ধরনের নির্দেশক।
যেসব পদার্থ নিজেদের রঙ পরিবর্তনের মাধ্যমে কোনো একটি পদার্থ এসিড না ক্ষারক বা কোনোটিই নয় নির্দেশ করে তাকে নির্দেশক বলে। লিটমাস কাগজও একটি নির্দেশক। লাইকেন নামক গাছের ছাল হতে প্রাপ্ত রঙ দ্বারা এটি তৈরি করা হয়। এভাবে প্রাপ্ত লিটমাস কাগজ দেখতে রক্তবর্ণের হয় । এই রক্তবর্ণের লিটমাস কাগজে পটাশিয়াম কার্বনেট (K2CO3) ও অ্যামনিয়া দিয়ে গাজন করলে তা নীলবর্ণ ধারন করে।
গ) উদ্দীপকের পাত্রে সক্রিয় ধাতু ফেলে পাত্রের মুখে জ্বলন্ত দেয়াশলাই ধরলে পপ পপ শব্দ হয়, অর্থাৎ এটি একটি এসিড। আর পাত্রে পানি ঢাললে হিস হিস শব্দ হয় এবং পাত্রটি গরম হয়, অর্থাৎ এটি একটি ক্ষার।
যে সকল রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে এক বা একাধিক হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে এবং পানিতে H+ উৎপন্ন করে তাকে এসিড বলে; আর যে সকল রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে এবং যারা পানিতে OH- উৎপন্ন করে তাকে ক্ষার বলে। আর এসিড ও ক্ষারের বিক্রিয়ায় নিরপেক্ষ পদার্থ লবণ উৎপন্ন হয়। অর্থাৎ, এসিড+ক্ষার=লবণ।
ঘ) C পাত্রে লিটমাস কাগজ ডুবালে রঙ পরিবর্তিত হয় না, অর্থাৎ এটি লবণ।
প্রকৃতি
লবণ একটি নিরপেক্ষ পদার্থ।
বৈশিষ্ট্য
১) লবণ প্রশমন বিক্রিয়া অর্থাৎ এসিড ও ক্ষারের বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন হয়।
২) লবণ সমান সংখ্যক ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আধান দ্বারা গঠিত হয়, অর্থাৎ এটি আধান নিরপেক্ষ।
৩) লবণ সাধারণত উচ্চ গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক বিশিষ্ট এবং অধিকাংশ লবণ পানিতে দ্রবীভূত।
৪) পানিতে অদ্রবণীয় লবণ আদর্শ তাপমাত্রা ও চাপে কঠিন থাকে।