বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে তা আবিদা সুলতানার বক্তব্যের আলোকে নিচে পর্যালোচনা করা হলোÑ
বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে উপকূলবর্তী অঞ্চলসমূহে অবাধে সমুদ্রের পানি ঢুকে পড়বে। সমুদ্রের লবণাক্ত পানির প্রভাবে সবুজ গাছপালা, মৎস্য খামার, শস্য খেতের ক্ষতি হবে। ইতোমধ্যেই এর প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলসমূহে ম্যানগ্রোভ ফরেস্টের ক্ষতি হচ্ছে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া উপকূলীয় কৃষি আবাদি জমিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেয়ে জমির উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে ওইসব স্থানে কৃষির উৎপাদন কমে গেছে। মিঠা পানির মাছের প্রজাতি হারিয়ে যাচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে গাছপালা ও জলাশয়। এর প্রভাব মানুষের জীবন-জীবিকায় পড়ছে। সমুদ্র উপকূলবর্তী মানুষ জীবিকার টানে শহরমুখী হচ্ছে। পেশা পরিবর্তন করছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। যেমন- বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে ইতোমধ্যে মরুকরণ শুরু হয়ে গেছে। এর ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ইত্যাদি কারণে গবাদিপশুর খাদ্যের অভাব হবে এবং বাড়বে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি।
পরিশেষে বলা যায়, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণেই মূলত জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটে, যার প্রভাব বিশ্বে সুদূরপ্রসারী। তবে বাংলাদেশে এর প্রভাব জটিল করার জন্য সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।