ক) যে বস্তু নিজের রঙ পরিবর্তনের মাধ্যমে কোনো একটি বস্তু এসিড না ক্ষার বা কোনোটিই নয় তা নির্দেশ করে তাকে নির্দেশক বলে।
খ) যে বস্তু নিজের রঙ পরিবর্তনের মাধ্যমে কোনো একটি বস্তু এসিড না ক্ষার বা কোনোটিই নয় তা নির্দেশ করে তাকে নির্দেশক বলে। লিটমাস পেপারও এক ধরনের নির্দেশক। আর NaCl এসিড বা ক্ষার কোনোটিই নয়, বরং এটি একটি লবণ। তাই NaCl লিটমাস পেপারের রঙ পরিবর্তন করে না।
গ) উদ্দীপকের বিক্রিয়াটি প্রশমন বিক্রিয়া। কারণ-
আমরা জানি, যে বিক্রিয়ায় এসিড ও ক্ষার পরস্পরের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি তৈরি করে তাকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে। উদ্দীপকে উল্লিখিত বিক্রিয়াটি হলোঃ
HNO3 + KOH ---> KNO3 + H2O
এখানে, HNO3 বা নাইট্রিক এসিড হলো একটি এসিড। KOH বা পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড হলো একটি ক্ষার। আর HNO3 ও KOH পরস্পরের সাথে বিক্রিয়া করে KNO3 বা পটাশিয়াম নাইট্রেট ও H2O তৈরি করেছে যেখানে KNO3 হলো একটি লবণ ও H2O হলো পানি। তাই উদ্দীপকের বিক্রিয়াটি প্রশমন বিক্রিয়া।
ঘ) উদ্দীপকের বিক্রিয়ক যৌগ দুইটি হলো HNO3 যা একটি এসিড ও KOH যা একটি ক্ষার। নিচে এসিড ও ক্ষারের তুলনামূলক আলোচনা করা হলোঃ
i. যে সকল রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে এক বা একাধিক হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে এবং পানিতে H+ উৎপন্ন করে তাকে এসিড বলে। আর যে সকল রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে এবং যারা পানিতে OH- উৎপন্ন করে তাকে ক্ষার বলে।
ii. এসিড নীল লিটমাসকে লাল করে। অপরদিকে ক্ষার লাল লিটমাসকে নীল করে।
iii. এসিড টক স্বাদযুক্ত। অন্যদিকে ক্ষার কটু স্বাদযুক্ত।
iv. এসিড পানিতে হাইড্রোজেন আয়ন দান করে। কিন্তু ক্ষার পানিতে হাইড্রোক্সিল আয়ন দান করে।
v. এসিড ও ক্ষার পরস্পরের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।