ক্লোরিনের ভরসংখ্যা 35.5; এটি ঠিক আছে। তবে ক্লোরিনের নিউট্রন সংখ্যা 18.5 না। আসলে ক্লোরিনের ভরসংখ্যা দশমিক হওয়ার কারণ হলো ক্লোরিনের আইসোটপ; Cl-35 এবং Cl-37. ক্লোরিনের ভরসংখ্যা এই দুইটি আইসোটপের ভরসংখ্যার গড়। সেই হিসেবে ক্লোরিনের ভরসংখ্যা 36 হওয়ার কথা, কিন্তু 35.5 কেন? কারণ, প্রকৃতিতে পাওয়া আইসোটপগুলোর শতকরা উপস্থিতির ভিত্তিতে এই ভরসংখ্যা নির্ণয় করা হয়।
প্রকৃতিতে প্রাপ্ত Cl-35 এর শতকরা পরিমাণ 75% এবং প্রকৃতিতে প্রাপ্ত Cl-37 এর শতকরা পরিমাণ 25%
যদি কোনো মোলের দুইটি আইসোটপ থাকে,
তবে এর ভরসংখ্যা নির্ণয়ের সূত্রটি হলোঃ
A= (pm+qn)/100
যেখানে,
A= ভরসংখ্যা
p= প্রথম আইসোটপের ভরসংখ্যা
m= প্রকৃতিতে প্রাপ্ত প্রথম আইসোটপের শতকরা পরিমাণ
q= দ্বিতীয় আইসোটপের ভরসংখ্যা
n= প্রকৃতিতে প্রাপ্ত দ্বিতীয় আইসোটপের শতকরা পরিমাণ
.'. ক্লোরিনের গড় ভরসংখ্যা= (35x75+37x25)/100 = 35.5
এই কারণে ক্লোরিনের ভরসংখ্যা ভগ্নাংশ হিসেবে পাওয়া যায়।