ছোট শিশুদের মোটেও পান করতে দেবেন না কোমল পানীয়। একদিন খেলে কিছু হবে না এই ভাবনা ত্যাগ করুন। নিজের সন্তানের ভালো চাইলে কোনোমতেই কোমল পানীয় স্পর্শ করতে দেবেন না তাদের।
এসব কোমল পানীয় ধীরে ধীরে বাচ্চাদের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ অঙ্গ যেমন লিভারের ক্ষতি করে থাকে।
এছাড়া আপনি যদি এক গামলা কোকা কোলার মধ্যে একটি হাড় ১৫-২০ দিন ডুুুুুবিয়ে রাখেন তাহলে ১৫-২০ দিন পর আপনি হাড়টি খুুঁজেই পাবেন না
আপনি নিজেও কোমল পানীয় ত্যাগ করুন। যদি একবারে ত্যাগ করতে না পারেন, তাহলে আস্তে আস্তে রঙ বিহীন পানীয় পানের অভ্যাস করুন। এভাবে ধীরে ধীরে ছেড়ে দিন।
কোমল পানীয়ের বদলে আবার এনার্জি ড্রিঙ্ক বেছে নিতে যাবেন না যেন। এগুলো আরও বেশি ক্ষতিকর।
পান করুন লেবুর শরবত, বিভিন্ন ফলের রস। একঘেয়ে লাগলে কয়েক রকমের ফলের রস মিশিয়ে ফ্রুট পাঞ্চ তৈরি করে নিন।
এছাড়াও প্রাকৃতিক কোমল পানীয়, যেমন ডাবের পানি পান করতে পারেন প্রতিদিন। এতে মোটা হয়ে যাওয়ার ভয় তো নেই-ই, বরং ভীষণ স্বাস্থ্যকর।
গুরুপাক খাবার খেলে কোমল পানীয় পান করতে হবে? তাতে হজমে সুবিধা হয়? এই ভুল ধারণা বাদ দিয়ে, গুরুপাক খাবার খেলে হালকা গরম পানিতে একটি লেবু চিপে মধু মিশিয়ে পান করুন,হজমে সহায়ক হবে। কোমল পানীয় মোটেও হজমে সহায়ক নয়।
ফাস্টফুডের সাথে বাচ্চাদের কোমল পানীয় না দিয়ে সাথে পরিবেশন করুন ঘরে তৈরি লেমনেড। মিশিয়ে দিতে পারেন এক ফোঁটা খাবার রঙ। দেখবেন আর কোক-পেপসি চাইবে না!