দুর্যোগ হচ্ছে মোটামুটি দুই প্রকারঃ প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্ট। আবার অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের দীর্ঘ দিনের অবিবেচক কর্মকান্ডের ফলে ঘটে থাকে। ভুমিকম্প, সুনামি ঝড়, বজ্রপাত বন্যা ইত্যাদিতে মানুষের হাত না থাকলেও এসব দুর্যোগের ক্ষতির পরিমান মানুষের কর্মকান্ডের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। যেমন অতিবৃষ্টি বা জোয়ারের কারনে বন্যা হলেও মানুষের অপরিকল্পিত ভূমি ব্যবস্থা, বাধ নির্মান, খাল, জলাশয় বদ্ধকরন ইত্যাদি বন্যার দুর্ভোগ বাড়িয়ে দেয়। দুর্যোগের ফলে মানুষ সাময়িক বা কোন কোন সময় ৪-৫ বছরও মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। কৃষি জমি নষ্ট হওয়ায় মৌলিক খাদ্যের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পারিবারিক জীবনে মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পায়। যখন একটি পরিবারের কর্মক্ষম সদস্য কর্মহীন হয়ে পড়ে তখন হতাশা ও বঞ্চনাসহ চরম দারিদ্রের কোষাঘাতে ব্যক্তি জ্ঞানহীন ও আগ্রাসী হয়ে ওঠে ফলে পরিবারে কোলাহল, ঝগড়া বিবাদ ইত্যাদি বৃদ্ধি পায়। নারী ও শিশু নির্যাতন বৃদ্ধি পায়। যে বয়সে শিশুরা খেলবে, স্কুলে যাবে সেই সময়ে শিশুরা সামান্য খাবারের জন্য কাজ, সমাজে অসামাজিক কর্ম যেমন চুরি, সংঘাত ও শ্রমমুখী হয়ে উঠতে থাকে। বেশি সদস্যের পরিবার বা যৌথ পরিবার ভেঙ্গে একক পরিবার গড়ে ওঠে, ফলে ভিন্ন ভিন্ন চাহিদা ও অভাব মানুষকে চারদিক দিয়া ঘিরে ধরে। এভাবে যেকোন একটি দুর্যোগ মানুষের পারিবারিক জীবনে চরম হতাশা ক্ষয় ক্ষতি, দিয়ে জীবনকে দারিদ্রের কষাঘাতে নিমজ্জিত করে দেয়।