ক) কোনো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে নির্দিষ্ট পরিবেশে সজীব এবং নির্জীব উপাদানের সম্পর্ক ও পারস্পারিক ক্রিয়াকে বাস্তুতন্ত্র বলে।।
খ) যেসব প্রানী উৎপাদক থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক স্তরের খাবার খায় এদেরকে সর্বভুক্ত প্রাণী বলা হয়।যেমনঃ মানুষ যখন ডাল, ভাত , আলু খায় তখন তাকে প্রথম স্তরের খাদক এবং যখন মাছ, মাংস খায় তখন তাকে দ্বিতীয় বা তৃ্তীয় স্তরের খাদক বলে। এই সব কারনেই মানুষকে সর্বভুক্ত প্রাণী বলা হয়।।
গ) উদ্দিপকে একটি পুকুরের বাস্ততন্ত্রের চিত্র বা জলজ বাস্ততন্ত্রের চিত্র দেওয়া আছে।
উদ্দিপকের পুকুরের অন্যতম ও প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পানির স্থিরতাপূর্ণ উপস্থিতি। এর ফলে জলজ উদ্ভিদকূলসহ সংশ্লিষ্ট প্রজাতির প্রাণীবর্গের বসবাসের উপযোগী অনুকূল পরিবেশ পায়। শাপলা, ব্যাঙ, সাপ, কচ্ছপ, বক, মাছরাঙা ইত্যাদি প্রজাতির প্রাণী পুকুরকে উপজীব্য করে বেঁচে থাকে। পানিজাতীয় খাদ্য খেয়ে এ সকল প্রাণী জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে। কিছু কিছু স্থলচর প্রাণী বিশেষ করে হাঁসের খাদ্যের সরাসরি উৎস হিসেবে পুকুর বিবেচিত হয়ে আসছে। আবার অজৈব উপাদান রয়েছে ।।এগুলো হলো-- কার্বন-ডাই - অক্সাইড, অক্সিজেন, ইত্যাদি।।
প্রত্যেক বাস্তুতন্ত্রে মূলত তিনটি উপাদান রয়েছে, যথা
জড় উপাদানঃ হিউমাস, কার্বন-ডাই - অক্সাইড, অক্সিজেন, ফসফরাস ইত্যাদি
ভৌত উপাদানঃআলো, তাপ, বৃষ্টিপাত, আর্দ্রতা প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত।
জীবজগতের উপাদানঃকীটপতঙ্গ, মাছ, ব্যাঙ ইত্যাদি
একটি পুকুরের বাস্ত্রতন্ত্রে যেহুতু এই সকল উপাদান উপস্থিত তাই বলা যায়, উদ্দিপকের বাস্ততন্ত্রটি একটি আদর্শ বাস্ততন্ত্র।।