করোনাভাইরাসে দুর্বিষহ মানবজীবন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, কাজল, প্রথম আলো, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, ঢাকা। বর্তমানে করোনাভাইরাস একটি আতংকের নাম। এটি চীন দেশের উহান শহরে উৎপত্তি লাভ করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ একটি ছোট আয়তনের দেশ। এ দেশে প্রায় 20 কোটি মানুষ বাস করে। ঘন বসতিপূর্ণ এই দেশে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি অন্যান্য কম বসতিপূর্ণ দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন এখনও আবিষ্কৃত না হওয়ায় সচেতনতাই এটি প্রতিরোধের একমাত্র মাধ্যম। গত 25 জানুয়ারি 2021 তারিখে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলাতে গিয়ে সাধারণ জনগনের সাথে কথা বলে জানা গেল যে, সেখানকার প্রায় অর্ধেক জনগণই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকে একাধিকবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাদের মাঝে বেশিরভাগই সুস্থ হয়েছেন। কিন্তু অনেকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে লড়তে শেষ পর্যন্ত হার মেনে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় গ্রহণ করেছেন। তাদের মাঝে বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি। আরো জানা গেছে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, অধিকাংশ মানুষই স্বাস্থ্যসচেতনতায় ব্যাপারে উদাসীন। তারা নিয়মিত মাস্ক পরিধান করে না, সাবান ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করে না, এমনকি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেও অনিচ্ছুক। তবে এই উদাসীনতার পেছনে দারিদ্রতা অনেকাংশে দায়ী। কারণ দরিদ্র জনগণ সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি কিনতে অক্ষম। এই করোনা মানবজীবনে অত্যন্ত ভয়াবহ প্রভাব বিস্তার করছে। এই করোনার কারণে অকালেই অনেক প্রাণ ঝরে পড়েছে। এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি তারা মানসিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আবার এই দীর্ঘমেয়াদি বন্ধে অনেক দরিদ্র পরিবারের সন্তানেরা কাজে নিযুক্ত হয়েছ। এছাড়াও এই মহামারীর কারণে দেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব বিবেচনা করে বলা যায় যে, সরকারের বর্তমান সেবাদান কর্মসূচিসমূহ যথেষ্ট নয়। করোনা পরীক্ষার হার ও বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ক্যাম্প গঠন করে নিরক্ষর ও অসচেতন জনগনের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে এবং বিনামূল্যে খাদ্য, মাস্ক, স্যানিটাইজার প্রদান কর্মসূচী বৃদ্ধি করতে হবে। তাই বর্তমান সময়ের দাবী হলো, সরকার, স্বেচ্ছাসেবকসহ সারা দেশের প্রতিটি মানুষকে একত্রে করোনা প্রতিরোধে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করতে হবে।
প্রতিবেদনের শিরোনামঃ করোনা ভাইরাসে দুর্বিষহ মানবজীবন প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানাঃ কাজল, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, ঢাকা।
প্রতিবেদন তৈরির স্থানঃ সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা।
প্রতিবেদন তৈরির তারিখঃ ২৬ জানুয়ারি, ২০২১