নিম্নে শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেটে ভূমিকা লেখা হলোঃ
আধুনিক জীবন যাপনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুুক্তি মানুষের জীবনকে করেছে উন্নত, জীবনযাত্রাকে করছে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। ইন্টারনেটের ব্যবহার আমাদের জীবনে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। প্রতিনিয়ত দৈনন্দিন জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষা ক্ষেত্রেও ইন্টারনেটের ব্যবহার আজ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। শিক্ষার জন্য কাগজে ছাপা বই একটি অত্যাবশকীয় উপকরণ। বর্তমানে কাগজে ছাপা বইয়ের পাশাপাশি ইন্টারনেটে ই-বুক আকারে প্রকাশিত হচ্ছে। যেগুলো একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো মুহূর্তে ডাউনলোড করে পড়া যায়। পাঠ্য বইয়ের কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয় বুঝতে না পারলে ইন্টারনেটের সাহায্য নেওয়া যায়। ইন্টারনেটের কারণে শিক্ষার্থীদের এখন শুধু ক্লাসরুম কিংবা স্কুলের শিক্ষকদের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকতে হচ্ছে না। আজকাল অসংখ্য চমকপ্রদ কোর্স ইন্টারনেটে দেওয়া হয় এবং যে কেউ কোর্সগুলো গ্রহণ করতে পারে। বিজ্ঞান শিক্ষায় আমাদের নানা ধরনের পরীক্ষা বা এক্সপেরিমেন্ট করতে হয়। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক সময় সেগুলো করা যায় না। কিন্তু ইন্টারনেটের কল্যাণে এ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো আমারা দেখতে পারি।
দেশি-বিদেশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য ইন্টারনেট থেকে এখন সহজেই পাওয়া যায়।