পৃথিবীর সাথে অন্য যে কোন বস্তুর আকর্ষণকে অভিকর্ষ বলে।উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও চলন সহ বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজ গুলো অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে বিশেষ নিয়মে সম্পন্ন হয়ে থাকে।উদ্ভিদের স্বাভাবিক বিকাশে বিভিন্ন বাহ্যিক প্রভাবক বিশেষ ভূমিকা রাখে। বাহ্যিক প্রভাবক গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অভিকর্ষ।
যেহেতু পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের ধারা সকল বস্তুকে কেন্দ্র বরাবর নিজের দিকে আকর্ষণ করে তাই পৃথিবীর প্রতিটি নিয়ামক এই আকর্ষণের দ্বারা প্রভাবিত হয়। উদ্ভিদ জীবনে প্রয়োজনীয় উপাদান গুলো নিচের দিকে আকর্ষণ বলের প্রভাবে থাকায় উপাদানগুলো উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে।ভূপৃষ্ঠ থেকে উদ্ভিদ যতই উপরে বৃদ্ধি পায় তত শীর্ষ প্রান্ত পৃথিবীর কেন্দ্র বরাবর আকর্ষণ বৃদ্ধি পায় ফলে তা নীচে ঝুঁকে পড়ে, বেশি উপরে বৃদ্ধি পেতে পারে না।আবার উদ্ভিদ অভিস্রবণ প্রক্রিয়া এ মাটি থেকে পানি শোষণ করে।এই পানি অভিকর্ষ নের জন্যই উদ্ভিদ দেহের মধ্য দিয়ে বেশি উপরে যেতে পারে না।অভিকর্ষ এর ফলে কোষের উপাদান গুলো নিচের স্থানান্তরিত হয় ফলে চাপ পড়ে পার্শ্বীয় কোষের প্রাচীরে। এতে অভিকর্ষনীয় চলন দেখা যায়।এর ফলে কোষের অন্যান্য উপাদান খনিজ ইত্যাদি বেশি উপরে উত্তোলিত হতে না পারায় শীর্ষ কোষ বিভাজন রহিত হয়ে বৃদ্ধি বন্ধ করে দেয়। এর থেকে বোঝা যায় যে অভিকর্ষ উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
আবার উদ্ভিদে অভিকর্ষ বলের প্রভাবে কান্ডের অভিকর্ষ বিমুখী ও অভিকর্ষ মুখী প্রসারণ হয়। অভিকর্ষের টানে উদ্ভিদের মূলের কোষের উপাদান গুলো নিচের দিকে স্থানান্তরিত হয়। অর্থাৎ অভিকর্ষের টানে মুলটি নিচের দিকে বাড়তে থাকে।
পরিশেষে বলা যায় যে উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অভিকর্ষ বল প্রভাব বিস্তার করে থাকে।