লালা পানির মতো আঠালো ও বর্ণহীন তরল। আমরা খাবার মুখে নিয়ে দাঁত দিয়ে চিবুতে থাকি। জিব খাবারগুলোকে নেড়েচেড়ে দেখে। যেন এগুলো ভালো করে চিবানো যায়। মুখের মধ্যে ওই খাবারগুলো লালার সঙ্গে মিশ্রিত হয়। খাদ্যদ্রব্য হজমের জন্য এটি খুব প্রয়োজনীয়। এতে থাকে শতকরা ৯৮ ভাগ পানি ও ২ ভাগ এনজাইম বা জৈব রাসায়নিক পদার্থ। লালার এনজাইমকে বলে টায়ালিন।
লালার জীবাণু-প্রতিরোধী ক্ষমতা আছে। মুখের ভেতরকার জীবাণুকে এটি মেরে ফেলে। মুখের পেছনে অবস্থিত লালাগ্রন্থি থেকে এটি নিঃসৃত হয়। খাদ্য পরিপাকে লালার বিশেষ ভূমিকা আছে। লালা খাদ্যবস্তুকে পিচ্ছিল করে ও গিলতে সাহায্য করে। প্রতিদিন আমাদের মুখে ১.৫ লিটার লালা তৈরি হয়। লালার একটি কাজ হলো মুখের মধ্যে এসিডের সমতা রক্ষা করা, যাতে এনজাইমগুলো সক্রিয় থাকে।
ছোট শিশুদের লালা নিঃসৃত হয় বেশি। এর কারণ হলো জন্মের পর কয়েক বছর ধরে শিশুর লালাগ্রন্থিগুলো বেশি সক্রিয় থাকে। কখনো কখনো ঘুমন্ত অবস্থায় কারো কারো মুখ থেকে লালা নির্গত হয়। লালাগ্রন্থি থেকে লালা ক্ষরণ হয়। লালায় থাকা পানি খাদ্যকে নরম করে।