যে প্রক্রিয়ায় উৎপাদক থেকে বিভিন্ন খাদকে শক্তি প্রবাহিত হয় তাকে খাদ্যশৃঙ্খল বলে।
তৃণভূমির একটি খাদ্য শৃঙ্খল হলোঃ
সবুজ উদ্ভিদ → ঘাস ফড়িং →ব্যাঙ →সাপ→ঈগল।
খাদ্য শৃঙ্খলটিতে সবুজ উদ্ভিদ--- উৎপাদক,ঘাস ফড়িং --- প্রথম স্তরের খাদক,ব্যাঙ --- দ্বিতীয় স্তরের খাদক,সাপ --- তৃতীয় স্তরের খাদক এবং ঈগল --- সর্বোচ্চ স্তরের খাদক।
সবুজ উদ্ভিদ সূর্যালোকের উপস্থিতিতে Co2 ও পানির সাথে বিক্রিয়া করে শর্করা তৈরি করে এবং উপজাত হিসেবে O2 উৎপন্ন হয়।
ঘাসফড়িং খাদ্যর জন্য সরাসরি সবুজ উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল।তাই এদের প্রথম স্তরের খাদক বা তৃণভোজী বলা হয়।
ব্যাঙ নিজের খাদ্য নিজে প্রস্তুত করতে পারে না আবার উৎপাদককেও খাদ্য হিসেবে গ্রহন করে না।এরা প্রথম স্তরের খাদক ঘাসফড়িংকে ভক্ষণ করে বেঁচে থাকে। তাই এরা দ্বিতীয় স্তরের খাদক।
সাপ ব্যাঙকে ভক্ষণ করে তাই এটি তৃতীয় স্তরের খাদক।সবশেষে ঈগল সাপকে ভক্ষণ করে জীবনধারণ করে।তাই এটি সর্বোচ্চ খাদক।
সুতরাং, খাদ্যশৃঙখলটিতে উৎপাদক সবুজ উদ্ভিদ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ খাদক ঈগল পর্যন্ত শক্তি প্রবাহ অব্যাহত থাকে।