ধাতব পদার্থের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ প্রবাহই মূলত ইলেক্ট্রন প্রবাহ। তবে এই দুই প্রবাহের দিক ভিন্ন। ইলেক্ট্রন যায় নিম্ন বিভব থেকে উচ্চ বিভবের দিকে, আর বিদ্যুৎ প্রবাহের দিক উচ্চ বিভব থেকে নিম্ন বিভব। কিন্তু কেন?এর উত্তর বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের ঘুড়ি পরীক্ষায়।
১৭৫২ সালে, বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন একটি ঘুড়ির সুতার সাথে তড়িৎ পরিবাহী তার যুক্ত করেন। ঘুড়িটিকে বজ্রপাত করা মেঘের পাশে উড়ানো হয়, যেন সেটি সেখান থেকে কিছু বিদ্যুৎ সংগ্রহ করতে পারে এবং তা পরিবহন করতে পারে।
উলেখ্য, বিজ্ঞানী ফ্রাঙ্কলিনের পরিকল্পনা সফল হয়েছিল, যার ফলে তিনি হালকা বৈদ্যুতিক শকও খেয়েছিলেন। তিনি প্রবাহিত এই বিদ্যুতের নাম তখন দিয়েছিলেন চার্জ , যার মান ছিল ধনাত্মক(+ve)। এখান থেকে বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন সিদ্ধান্তে আসেন যে, বিদ্যুৎ প্রবাহ অর্থ ধনাত্মক চার্জের প্রবাহ। এই ধারণা প্রায় পরবর্তী ১৫০ বছর পর্যন্ত মুলতবি ছিল।
১৮৯৭ সালে, ইলেক্ট্রন আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন, ধাতব পদার্থের জন্য এই ধারণা ঠিক নয়। পরিবাহীতে বিদ্যুৎ প্রবাহ হলো ইলেক্ট্রন প্রবাহ। কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে- হাজার হাজার বই, লাখো লাখো সার্কিটের সমস্যা আগের ধারণায় সমাধান করা হয়ে গেছে।
আবার দেখা যায়, বিদ্যুৎ প্রবাহের দিক উচ্চ থেকে নিম্ন বিভব ধরলেও সমস্যা সমাধান ও অন্যান্য বাস্তব ক্ষেত্রে তার তেমন প্রভাব পড়ে না। ফলে এই বিদ্যুৎ প্রবাহের ধারণাটি আজও ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু মূল বিষয়বস্তু ঠিক রাখতে এর সাথে ইলেক্ট্রন প্রবাহের ধারণাটিও সংযুক্ত করা হয়েছে, এবং উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিদ্যুৎ প্রবাহ, ইলেক্ট্রনের বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয়।
[তথ্যসূত্র
https://www.quora.com/Why-is-the-direction-of-flow-of-electrons-opposite-to-the-direction-of-flow-of-electric-current]