মেধা সবারই আছে, তবে এর তারতম্যও আছে। স্কুলে একই বয়সের কোন শিক্ষার্থী একটা অংক একবার বোঝালেই বুঝে যায়, কেউ আবার দুই-তিন বারেও বুঝতে পারে না। আবার কুইজ প্রতিযোগিতায় উত্তর জানা সত্ত্বেও কেউ হয়ত প্রশ্নের উত্তর দিতে ৩০ সেকেন্ড সময় ব্যয় করে ফেলেন। কেউ তিন সেকেন্ডেই উত্তর দিয়ে দেন। কেন এমনটা হয়? কেন সবাই আইনস্টাইন বা নিউটন হন না? এর সম্ভাব্য উত্তর খুঁজে বের করেছেন গবেষকরা।
এক গবেষণায় দেখা যায় যেসব মানুষের মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ একে-অন্যের সঙ্গে দ্রুত সংযোগ স্থাপন করে সেসব মানুষ বেশি বুদ্ধিমান হয়। ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইক পরিচালিত এ গবেষণায় মানুষের মস্তিষ্কের কৌশলগত কার্যক্রম ও মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
গবেষণার প্রধান লক্ষ্য ছিল মানুষের বুদ্ধিমত্তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করা। এতে সফল হলেই ভবিষ্যতে মানুষকে কৃত্রিমভাবে বুদ্ধিমান বানানোর প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া সম্ভব হবে। গবেষক প্রফেসর জিয়ানফেং ফেং বলেন, ''এ্যাডভান্স ব্রেন ইমেজিং প্রযুক্তি আমাদের গবেষণাকে আবারও সহায়তা করেছে। কৃত্রিমভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্রমকে প্রভাবিত করার জন্য আমাদের এ গবেষণার ফলাফল খুবই কাজে লাগবে। মস্তিষ্কের কার্যক্রম সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা হতাশা ও সিজোফ্রেনিয়া রোগের কারণ ও প্রতিকারের ক্ষেত্রে খুব কাজে দেবে।''
গবেষণায় পৃথিবীর হাজারো মানুষের মস্তিষ্কের এমআরআই বিশ্লেষণ করে গবেষকরা দেখেন মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে নিউরাল সংযোগ ঘটার ক্ষেত্রে অনেকের মিনিট থেকে সেকেন্ড পর্যন্ত ব্যবধান হয়ে থাকে। অন্যদিকে মস্তিষ্কের যেসব অংশ মানুষের বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে জড়িত নয় যেমন দেখা, শোনা ও অন্য সংবেদনশীল অংশের কার্যক্রম সব মানুষের প্রায় একই মাত্রায় হয় অর্থাৎ বুদ্ধিমত্তাকে নিয়ন্ত্রণকারী নেটওয়ার্কের ভিন্নতার মত এতটা তারতম্য ঘটে না।