ক) ভূতে বিশ্বাস নিয়ে মানুষের মাঝে প্রচলিত কুসংস্কার কাল্পনিক ও অন্তঃসার শূন্য।
খ) প্রশ্নোক্ত উক্তিটি দ্বারা নগেন যে পাগল হয়ে যায়নি তা বোঝানো হয়েছে।
নগেনের মামার মৃত্যুর পর নগেন তার মামার প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশের জন্য মামার ছবির কাছে প্রণাম করতে যায়। কিন্তু কাজটি রাতের বেলা করতে গেলে ছবিটি ধাক্কা দিয়ে তাকে দূরে সরিয়ে দেয়। নগেন যতবার রাতে এরকম করে ততবারই তা নগেনকে ধাক্কা দেয়, কিন্তু দিনে ছবিটির কাছে গেলে কিছুই হয়না। এতে নগেনের মনে হয় যে সে পাগল হয়ে গিয়েছে। একথা পরাশর ডাক্তারকে বললে নগেন যে পাগল হয়নি তা বোঝাতে তিনি প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেন।
গ) উদ্দীপকের সাথে 'তৈলচিত্রের ভূত' গল্পের মানবিক মূল্যবোধ দিকটির সাথে সাদৃশ্য আছে।
নগেনের মা-বাবা মারা গেলে তার মামাই তাকে ছোটবেলা থেকে লালনপালন করে বড় করেন। এমনকি মৃত্যুর আগে সম্পদ ভাগ করার সময় নিজের ছেলেদের পাশাপাশি নগেনকেও এক বিরাট অংশ দিয়ে যান। এতে নগেনের তার মামার প্রতি শ্রদ্ধা জাগ্রত হয়। তাই সে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মামার ছবির কাছে প্রণাম করতে গেলে ছবিটি তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। তখন সে পাগল প্রায় হয়ে পরাশর ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি নগেনের অমস্যা দূর করেন।
উদ্দীপকে দেখা যায় যে, মানুষকে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে একে অপরের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনের জন্য আহবান করা হয়েছে। এতে মানবিক মূল্যবোধের দিকটি ফুটে উঠেছে। তেমনি 'তৈলচিত্রের ভূত' গল্পে দেখা যায় যে, নগেনের মামা নগেনকে নিজের ছেলের মতো করে বড় করেছেন এবং নিজের সম্পত্তির একটি অংশ নগেনকে দিয়ে গিয়েছেন। আর পরাশর ডাক্তারও নগেনের বিপদের মুহূর্তে তাকে সাহায্য করেছেন। তাদের কাজেও মানবিক মূল্যবোধের দিকটি ফুটে উঠেছে।
ঘ) "ভাবগত সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকে 'তৈলচিত্রের ভুত' গল্পের মূল চেতনাই অনুপস্থিত" ------মন্তব্যটি যথার্থ কেননা 'তৈলচিত্রের ভুত' গল্পের মূল চেতনা হলো বিজ্ঞানসম্মত বিচারবুদ্ধির মাধ্যমে কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসকে দূর করা।
নগেনের মা-বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে নগেন তার মামার বাড়িতে থাকে। কিন্তু সে তার মামাকে কখনোই মন থেকে শ্রদ্ধা করতো না। সে মনে করতো মামা তাকে ভালবাসেন না। তবে তার মামা মৃত্যুর আগে যখন নগেনকেও তার সম্পদের একটি অংশ দিয়ে যান তখন সে তার ভুল বুঝতে পারে। কিন্তু অনুশোচনায় দগ্ধ হয়ে সে রাতে তার মামার ছবির কাছে গিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে চাইলে ছবিটি তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তখন সে ছবিতে মামার ভুত ভর করেছে ভেবে তা পরাশর ডাক্তারকে বললে পরাশর ডাক্তার তাকে বুঝিয়ে দেন যে ছবির রূপার ফ্রেমে বিদ্যুৎ জমায় এমনটি হয়েছে।
উদ্দীপকে দেখা যায় যে, মানুষকে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে একে অপরের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনের জন্য আহবান করা হয়েছে। এতে মানবিক মূল্যবোধের দিকটি ফুটে উঠেছে। তেমনি 'তৈলচিত্রের ভূত' গল্পে দেখা যায় যে, নগেনের মামা নগেনকে নিজের ছেলের মতো করে বড় করেছেন এবং নিজের সম্পত্তির একটি অংশ নগেনকে দিয়ে গিয়েছেন। আর পরাশর ডাক্তারও নগেনের বিপদের মুহূর্তে তাকে সাহায্য করেছেন। তাদের কাজেও মানবিক মূল্যবোধের দিকটি ফুটে উঠেছে।
পরিশেষে বলা যায় যে, উদ্দীপকে মানবিক মূল্যবোধের দিকটি ফুটে উঠলেও 'তৈলচিত্রের ভুত' গল্পের ভয়মুক্ত, কুসংস্কারমুক্ত এবং সচেতন হওয়ার দিকটি অনুপস্থিত, যা 'তৈলচিত্রের ভুত' গল্পের মূল চেতনা। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।