দক্ষিণ মেরুতে আমেরিকার আলাস্কা, গ্রিনল্যান্ড, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চল এবং দক্ষিণ মেরুতে অ্যান্ট্র্যাকটিকার মতো মেরু অঞ্চলগুলিতে অবস্থিত দেশগুলির স্বাভাবিক 12 ঘন্টার সময়কালের পরিবর্তে ছয় মাস দিন-রাত থাকে।দুই মেরুতে সূর্য ৬ মাস দিগন্তের উপরে ও ছয় মাস দিগন্তের নিচে থাকে। মেরুবৃত্ত থেকে দূরের অক্ষাংশে আমরা যেমন রাত দিন অনুভব করি সেখানের রাত দিন ঠিক তেমন নয়, অনেকটা গোধূলির মত। এর মূল কারণ হল সূর্যের সাথে পৃথিবীর ২৩.৫ ডিগ্রি নতি।
২১ মার্চ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর ছয় মাস উত্তর মেরুতে অবিরত দিন ও দক্ষিণ মেরুতে অবিরত রাত থাকে। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২১ মার্চ ঘটে উল্টোটি মানে ৬ মাস একটানা দক্ষিণ মেরুতে দিন ও উত্তর মেরুতে রাত। তার মানে ২১ মার্চ ও ২৩ সেপ্টেম্বর হচ্ছে মেরুদ্বয়ে রাত দিন পাল্টানোর দুই প্রান্তিক তারিখ। এই দুই দিন উভয় মেরু সূর্য থেকে সমান দূরে থাকে।
২১ মার্চের পর উত্তর মেরু সূর্যের দিকে ঝুঁকতে থাকে। ঝুঁকতে ঝুঁকতে ২১ জুন গিয়ে ঝোঁকার পরিমান হয় সর্বোচ্চ। ২১ জুনের পর উত্তর মেরু এবার সূর্য থেকে দূরে সরতে থাকে। সরতে সরতে ২৩ সেপ্টেম্বরে সূর্য থেকে দক্ষিণ মেরুর সমান দূরত্বে থাকে। এই ছয় মাস উত্তর মেরুতে (প্রকৃত অর্থে মেরুবৃত্তে) সূর্য দিগন্তের উপরে অবস্থান করে। তাই তখন এখানে দিন। অপর দিকে এই সময় দক্ষিণ মেরুবৃত্ত দিগন্তের নিচে অবস্থান করায় সেখানে রাত হয়।
উত্তর মেরু সূর্য থেকে সরতে সরতে ২৩ সেপ্টেম্বরে এসে দক্ষিণ মেরুর সমান দূরত্বে পৌঁছেছিল। এবার সে আরো সরতে থাকে। এভাবে ২২ ডিসেম্বর উত্তর মেরু সূর্যের সবচেয়ে দূরে ও দক্ষিণ মেরু সবচেয়ে কাছে থাকে। এবার দক্ষিণ মেরুর আবার সরার পালা। দক্ষিণ মেরু সরতে থাকে আর উত্তর মেরু পুনরায় দূরত্ব কমাতে থাকে।
এভাবে ২১ মার্চ আবার দুই মেরু সূর্য থেকে সমান দূরে থাকে। ফলে, এই ছয় মাস দক্ষিণ মেরুতে দিন আর উত্তর মেরুতে রাত হয়।